আমি বিশ্বাস করেছিলাম
আমার চারপাশের বিশ্বস্ত সব মানুষকে।
অথচ তারা সবাই মনুষ্য রূপী মানুষ
আমার বিশ্বাসের আয়নাকে ভেঙ্গে করেছে চুরমার।

আমি বিশ্বাস করেছিলাম
কষ্টি পাথরে ঘষা তোমাকে; মানে একজনকে।
অথচ তুমিও সেই মনুষ্যরূপী মানুষের দলে
একাই একটা দল হয়ে ভেঙে দিলে আয়না।

আমি বিশ্বাস করেছিলাম
বাড়ির আঙিনায় অনড় সবুজ একটা বৃক্ষকে।
অথচ বৃক্ষটাও উপরে পড়ল মৃদু বাতাসে
আমাকে রেখেই চলে গেলো করাতির ডাকে।

আমি বিশ্বাস করেছিলাম
রাতের জ্বলন্ত আকাশের একটা জোসনাকে
যেন পথ দেখিয়ে নিয়ে যাবে আমাকে।
অথচ সে অমাবস্যাকে করেছে আমার চেয়ে আপন।

আমি বিশ্বাস করেছিলাম
ভোরের শিশির ভেজা দূর্বাঘাসকে।
বড় আশা নিয়ে হাতে বোলাতে গিয়ে
কৃত্তিম মায়াজালে হারিয়ে ফেলেছি তাকে।

আমি বিশ্বাস করেছিলাম
রাতের কুটকুটে কালো আঁধারকে
যেন ঢেকে রাখবে নির্লজ্জ কলঙ্কিত আমাকে।
অথচ সে আমাকে ঠেলে দিয়েছে আলোতে।

আমি বিশ্বাস করেছিলাম
আমার হৃদয়ের অকৃত্রিম পবিত্রতাকে।
আর বিশ্বাস করেছিলাম
সৃষ্টিকর্তার প্রতি আমার অঙ্গীকারকে।
অথচ সব বিশ্বাসই করেছে বিশ্বাসঘাতকতা।
আর ধীরে ধীরে আমাকে বানিয়েছে এক অবিশ্বাসী।