হে হৃদয় কিসের অভাববোধে ভুগছো? প্রেম?
কীসের মায়ায় চিৎকার করছো?  ভালোবাসা?
ঘৃণা কর এই প্রেম ও ভালবাসাকে,
আস্তাকুড়েঁ নিক্ষেপ করো এই মরীচিকাকে।

প্রেম ও ভালোবাসায় কখনো অভাববোধ সৃষ্টি হয় না
এ তো দুটি হৃদয়ের এক স্বর্গীয় পূর্ণতা,
দুটি অদেখা স্পর্শের মিলন,
অব্যক্ত দুটি হৃদয়ের কথোপকথন,
দুটি পিপাসার্ত হৃদয়ের এক পূর্ণতার আস্বাদন।

তাহলে বসন্তের হাওয়ায় তোমার হাতের স্পর্শ,
লাল গোলাপের স্টিকে পেঁচানো শুষ্ক কিছু আবেগ,
ঘটা করে আয়োজিত স্নিগ্ধ বিকেলের কিছু খুশ গল্প,
এসবই কি মরীচিকা, বসন্ত বলে কি নেই তাহলে কিছু?

সবই আছে, মরীচিকাকে ভেঙে দেখো পাবে শুষ্ক প্রাণ
সেই প্রাণে তোমার প্রাণ সঞ্চারে পাবে তার দেখা।
অরূপ থেকে রূপে তোমাকে নিয়ে
প্রেম খেলা খেলিতেছে সে অবিরত।

আর তুমি খুঁজে মরছো তাকে ঐ শুষ্ক বিকেলে
হেঁটে চলা পায়ের আঘাতে মড়মড়ে পাতার শব্দে!
মিথ্যুক মজনু সেজে খুঁজিতেছো তার হাত
অথচ তোমার হাতে সে হাতে রেখে বসে আছে
এক বসন্ত থেকে আরেক বসন্ত পরে।

মিথ্যা স্পর্শ সুখে কাটিয়ে দিচ্ছ কত শত বিকেল
নিজেকে ভাসিয়ে দিচ্ছ বিবর্ণ একে বসন্তে।
অথচ সে কত আগেই তোমাতে মিশে রয়েছে,
তোমার হৃদয় আঁকড়ে ধরে বসে রয়েছে।

তাহলে শুধু শুধু এই মিথ্যে অভাববোধ কেন?
মিলন ও বিচ্ছেদের নামে মিথ্যে মায়াবোধ কেন?
তোমাকে যে আঁকড়ে ধরে আছে
তাকে বসন্তের বাতাসে না খুঁজে,
তোমাতে তাকে খুজে নাও চোখ মুজে।