মাঝ রাত ।
রাতের নীরবতাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে
টিকটিক শব্দে সেকেন্ডের কাটা ঘুরছে
বারো থেকে বারো।
যেমন বুড়ো আঙুল দেখিয়েছ তোমরা।
আমার এবং আমাদের আর্তনাদ না শুনে
রামপাল রামপাল তজবিহ গুনছো ।

জানো মনা,
অনেক ভালোবেসেছিলাম তোমাকে।
এখন আর বাসি না।?
আমার সব ভালোবাসা ফারাক্কার গেট খোলা তীব্র জলের সাথে ভেসে উত্তরের মানুষের চেহারার মতই মলিন হয়েছে।
মাঝ রাতে আঁতকে উঠি একাব্বর আলীর মতো।হাতরে তোমায় খুজি  বিছানার এপাশ ওপাশ।সেদিন মাঝ রাতে হঠাৎই জলটা বেড়ে যায়।তীব্র স্রোতে ভাসে একাব্বর আর সখিনা।সাথে ভাসে  জগ মগ আর বদনা।?
নিজেকে কোন কিনারে আবিষ্কার করলেও সখিনা নিরুদ্দেশ।

শুনছো মনা ,
তোমার ভালোবাসা কেন সেদিন কলাগাছের ভেলা হলো না।

আমি জানি মনা,
তোমার ভালোবাসা ঈশ্বরের মতো।
কাউকে পাঁচ তালায় রাখে আবার কাউকে
তীব্র সুখের লোভ দেখিয়ে জিইয়ে রাখে, জিওল মাছের মতো।
তোমার ভালোবাসার জন্য আমি দানবাক্স খুলেছি।যাতে কিছু ভালোবাসা দান করতে পারো এই গর্দভটাকে। যে তোমার ভালোবাসার বোঝা টানছে চিরন্তন।
নুয়ে পড়ি ,তবুও নুয়ে পড়েনা তোমার জন্য ভালোবাসাগুলো।
ঝুলে থাকে ফেলানীর মতো ,তোমার দিকে চেয়ে।একাব্বরের মতই আশায় বুক বাঁধি।

আমি জানি মনা,
তুমি ভুলে গেছ।এনার মতই ।দশ টাকায় চাল খাওয়াবে।এটা সেটা কত কি ?
তুমিও অনেক ভালো মিথ্যে বলতে পারো ?
তুমি রাজনীতিবীদ হবে।

তুমি জানো মনা ,
তোমার বুকের পাশের তিলটা আজও খুজি।সস্তা মেয়েদের বুক হাতরে ক্লান্ত হই। ওরা বুকে চেপে রাখে কামুকতায়।আমি নাক ডুবে তোমার শরীরে গন্ধ  শুকি ।পাই না। সুন্দর বনের মত নিশ্চুপ হয়ে যাই।

হ্যা মনা,
ফারাক্কার মত তোমার ভালোবাসার গেট খুলে দাও।তোমার ভালোবাসার তীব্র স্রোতে ভেসে যেতে চাই একাব্বরের মত নতুবা সখিনার মত ডুবে মরতে।


২৩শে আগষ্ট '১৭ইং
মৌচাক ,গাজীপুর।