জামাদারের তালাবদ্ধ চার দেয়াল চাইছে
হিমালয়কে আটকে রাখতে!
আপনি বসে আছেন বাতিহীন সে ঘরে,
প্রখর চোখের তেজোদ্দীপ্ত আলোয় যা আলোকিত!
আপনি আকাশের বিশালতায় তাকিয়ে
স্মরণ করছেন পথপ্রদর্শককে।
সময় যাদের সৌভাগ্যবান করেছে
আপনার সান্নিধ্য পেতে, বন্ধু হতে;
তাদের আবদার ছিলো লিখবেন
আপনি স্বহস্তে সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালির বিজয়গাঁথা।
মা ও বলতেন,
"বসেই তো আছো, লেখ তোমার জীবনের কাহিনী।"
মায়ের দেওয়া ডাইরির পাতায়,
তর্জনীর নেতৃত্বে চলতে শুরু করলো
কলমের রক্তিম কালি।
কালো মোটা ফ্রেমের ওপারের তীক্ষ্ণ চোখ
অবিরাম তদারকিতে কলমের শৈল্পিক আঁচ।
ক্রমে রচিত হচ্ছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ অমর বাস্তব!
লিখতে লিখতে রঙিন কাব্যের
হলো যখন মধ্যদুপুর,
আকাশে তখন বজ্রপাতের মতো ধ্বনিত হচ্ছে
শিরদাঁড়ায় শিহরণ জাগানিয়া অগ্নিঝরা স্লোগান,
"জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু"
"জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু"
কিছুকাল পর,
জেলার সাহেব এসে বললেন,
"বঙ্গবন্ধু, আপনি এখন বন্দি নন আর,
এখন আপনি স্বাধীন বাংলাদেশের জাতির পিতা ;
পৃথিবীর আর কোন জেল আপনাকে দাবায়ে রাখতে পারবে না!"