ক্ষুধার তোড়ে ডিগবাড়ি,
অন্ন দিলে প্রানে বাঁচি।
পিতৃতুল্য করি সেইজনায়।
তবু স্ব-ধর্মে পিড়াপিঁড়ি,
ভেদাভেদের বাহাদুরী।
করি হরদম।
ছিন্ন বস্ত্র নিয়ে যথায়,
এসে ছিলে ভিন্ন হাওয়ায়।
কী ছিলো এমন রুপের রকমারী।
তবু নামের আগে-পিছে সাধ করে,
বাহারী পদবী দিলে জোড়ে।
মদনের পাল্লা করলে ভারী,
হইতে উচ্চে অধিষ্ঠান।
শুনেছি আর দেখিছি কত,
বেদ পুরানে মহাবানী।
বিশ্ব নিখিলের দোহাই যিনি,
তিনিও বলেছেন জানি।
সৎ কর্মে যিনি শিরমণি,
পড়াইয়ো তারে চূড়ামণি।
দিও শ্র্রেষ্ঠজনের স্থান।
এখন অর্থকষ্টে যে-জন ভুগে,
নিম্ন বর্ণ তাদের বলে-
দিচ্ছে গালাগাল।
এক সাথে উঠাবসা
আরে সেতো দুরে কথা,
এক সাথে করলে ভোজনে
হচ্ছে বুকজ্বালা।
কত জনা দেখছে বুঝি,
আমিও দেখেছি বৈকী-
হোটেলের কারসাজি।
থাকে না প্লেটের গায়ে ,
লিখা বাদশাহ -ফকিরের নাম।
নুন আর পানি দিয়ে,
মনের ময়লা ধুয়ে ফেলে,
জাত পাতের ধার ধারি না,
করি সব সাবাড়।
তবু মোদের চাপা জোড়া-
বলে ভেদাভেদের ধার ধারে না।
দাড়িয়ে কোন মঞ্চে।
আর লেখক ভাবে-
স্বভাব কী আর পাল্টে যাবে মহা কলির লগ্নে।