অন্ধকার প্রকোষ্ঠ কারাগারে,
করজোড়ে বন্ধি ছিলাম আমি।
ধরিত্রীর শীতল হাওয়া মেখে দিলে গায়ে,
মুক্ত করলে তুমি।
ক্ষুধার জ্বালায় কেঁদে ছিলাম,
দন্তহীন শিশু আমি।
পরম মমতায় সাল দুগ্ধ - মুখে দিলে,
ক্ষুধা নিবারণ করলে তুমি।
যতবার বিপদ সংকুল পথে হেঁটেছি,
হয়েছি আমি পথভ্রষ্ট।
বঞ্চনা আর অপবাদে ঢেঁকে ছিল গা,
সবাই করেছিলো তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য।
তবু তুমি মা দিয়েছিলে শান্তনা,
করিছিলে ভুলের মার্জনা ।
শতশত কূল খুজিঁয়া পাইনি দিশা,
নদীর ডেউয়ের মত পরি বারে বারে উপছিয়া।
একটুকু মাথা গোজবার ঠাঁই,পাবো কোথা?
শ্রেষ্ঠ বরণ্য মা তোমার কোলে,
খুজেঁ পাই যেন স্বর্গের মায়া।