মনের আলো বন্দী হয় ভাঁড়ার ঘরের কোণে
হাসি মুখে নারী মোরা মেনেই নি মনে।
সেই কবেতা ঠিক জানিনা মা বলতেন হেসে,
বাড়ছে বয়েস রাঁধা শেখ লাগবে কাজে শেষে।
লাগতোনাতো ভালো আমার মায়ের সত্য বাণী,
পাল তুলে ধায় রঙিন বেশে হৃদের তরি খানি!
সময়তো আজ বুঝিয়ে দেয় ভাঁড়ার ঘরের প্রথা,
নারীর সাথে হয়না আড়ি বলির পাঁঠা যথা!
জীবন পথের মেধা গিলে সংসারের ওই হোম,
অধিকাংশই হারিয়ে যায় গলে যেমন মোম!
দখিন বাতাস শিরশিরিয়ে গগন ছায় মোর,
আচম্বিতে হোঁচট খাই হৃদের ভাঙে ডোর...
সকল কথার বেদন দহন নিকায় মনের গলি,
কখনো মনের মধু ক্ষেতে পাক খায় ওলি!
ভাঁরার ঘরের জানালা দিয়ে সন্ধ্যা তারা চায়,
তার পানেতে উদাস মন বাহু তুলে ধায়!
ছন্নছাড়া কেউ বলে তা মুখ বুজেতো সই,
স্রোতের দিকে মন ধায়না উল্টো পথে রই,
পাণ্ডুলিপি শিশির ধোয়া শিউলি আছে ভরা,
কোন কৌটায় কালবোশেখি ভাঙছে মৃত জ্বরা।
খুঁজছি আমি এই অবেলায় নুন তেল ছেড়ে,
ওই বুঝি ডাক এলো পথে বাক্স সাজাই ঝেড়ে।
সব কোণেরই আগল দ্বারে মুক্ত আজও নই,
কোন পথে সে আসবে নিতে পাইনা আমি থই।
ভাঁড়ার ঘরে রয়েও কভু পূর্ণিমা চাঁঁদ ছুঁই,
ভবিষ্যতের কাঠামোটা শক্ত ভীতে রুই।
আলোর খেয়া হৃদ মাঝারে ঝড়েই বাহি হাল,
ঢেউএর পরে চরণ রেখে আঁধার বানচাল।
ব্যর্থ আমি নই সহজে মরুতে ঝরাই বৃষ্টি...
কোনো জাদুগর তুলবে খুঁড়ে রিক্ত সুখের সৃষ্টি!!!