ভায়োলিন সুরে নাবিক কাঁদে লয় পরিণতি!
জেদি সভ্যতার তরঙ্গ কাটে আসমুদ্রর গতি।
সপ্তর্ষি ওই চেঁচিয়ে বলে ওরে রাখ রাখ...
শশী ক্ষণিক চমকে ওঠে জলে ভরা আঁখ!
জলের নৃত্য ছলাত ছল ধ্বংস লয়ে রত,
রোজের ঠোঁটে প্রেম চিহ্ন হৃদে জ্যাকের ক্ষত!
ডেকের উপর প্রতিবিম্ব জোছনা কেঁপে ওঠে,
টলে গেলো মধুচন্দ্রিমা গোলাপ ছাওয়া খাটে!
গলে যাচ্চে জলোচ্ছাসে প্রথম ছোঁয়া সিঁদুর!
ধনী গরীব একদ্রাঘিমায় এক ছন্দে মেদুর!
আটল্যান্টিক মুখ ফেরালো ব্যর্থ বাঁচার আর্তি,
বুকে জমানো শিলের অহং প্রলয় চাওয়া পার্থি!
চুঁয়ে পড়া হীম কান্না ঘুমন্ত লাশ ছোঁয়...
নিস্তব্ধ ইতিহাস বুঝি কালো সিন্ধু ধোয়।
বাঁশি বলে জাগো কেহে চোখে মৃত্যু ঘোর,
কালো রোদে সবাই মগন হয়নি আর ভোর!
টাইটান ওই আধুনিকতার এক মরণ ফাঁদ,
ধনী কুবেরের বিলাস যান সুখের মধু স্বাদ।
অভিশপ্ত টাইটানিক স্বপ্ন লয়ের শ্বাস।
আশা ভঙ্গ হা-হুতাশের প্রলয় ইতিহাস।
আটল্যান্টিক রোষানলে জড়ীভূত টাইটান,
আগ্রাসী অদৃশ্য গ্রাসে আবার খান খান।
টাইটানিক ঘুমিয়ে রয় যে তিমির তলে,
জাগিওনা আরবার কোনোরূপ ছলে!
এ মিনতি করে যাই চলতি যুগের চাকায়...
ভ্রমন সুখের নিহারীকা নেই ধ্বংস পাখায়!!