রাস্তা,ট্রেন ,বাস নয়...নয়  কোনো একান্তে
   ছিলাম নিজ  কর্মস্থলে নিজ জমির প্রান্তে।
নেকড়ের  দাঁতে হলাম সেদিন ক্রমে  রক্তাক্ত ...
   এত আঘাত  নৃশংসতা হয়না তা ব্যক্ত!
সেই গভীর আর্তনাদ শুনেছে  ইঁট পাঁচিল!
   শুনতে পায়নি বধির ওরা মানবতায় খিল!
ছিঁড়ে ছিঁড়ে রক্ত খায় ছোবলে  শুধু  ক্ষত,  
   পৈশাচিকতা  চরিতার্থ যেন তাদের ব্রত...
ওদের সাথে লড়ার তরে নিষ্প্রভ ক্ষমতা,
   আমি সেই লক্ষ্মীমন্ত সবার  তিলোত্তমা।
পারিনি ঘুড়ে  একা ওই  উত্তাল ঝড়ো পথে,
    চুল থেকে পায়ের নখ ছাড়েনি কঠিন রাতে,
অত্যাচার আর ধর্ষণেই হিম হলো শরীর।
   প্রতিবাদ আর বিচার ঘিরে সংশয়তার ভিড়!

ঘুড়ে তবে যেন দাঁড়ায়  দুর্গা তোমার ঘরে,
   নারী শক্তি  তুচ্ছ নয় মন্ত্র তার তরে,
জন্ম ক্ষণে নারী পাঁচালী দিওনা তার মনে,
   শিখুক কেমনে জাগতে হয় এ জীবনের রণে,
শিক্ষা হোক কেমনে ধায় ভীম চক্রব্যূহে,
   অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ কেমনে যায় নুইয়ে।
তুমি ভীষণ আনন বলী  মা করালবদনী,
   পাপ বিনাশিনী কালী  নৃমুণ্ডমালিনী,
ঐ  ভ্রকুটি ভীষণা মা ভীমা  ভয়ঙ্করী,
   ভবভয়হারিণী কালী তব প্রলয়ঙ্করী।
শিখবে সে নারী শুধু লক্ষ্মীমন্ত নয়,
   অসুর দলনী দশভুজা,কালীমন্ত হয়।।