জগত সভায় শ্রেষ্ঠ আসনে আমার ভারত রবে,
চন্দ্রযানের সফলতায় গর্বতো বুকে হবে।
কোন ইংরেজ কি বললো ও দেশের পত্রিকায়
পরোয়া করিনা কে কি বলে জয় তেরঙা মৃত্তিকায়।
গুটি গুটি পায়ে হাঁটে দেখো ভারতের প্রঙ্গান,
চাঁদের দখিনে প্রথম সফর বিশ্বে ইসরোর মান।
কৃতজ্ঞ মোরা দেশের মানুষ ওদের জ্ঞানের তরে,
গর্বে বুক ভরছে সাথে জয়তো দেশের ঘরে।
ব্রিটিশ হলো ইর্ষান্বিত একটা বিশেষ জাত,
তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নে মাথায় করাঘাত।
ইতিহাসের পাতা মোরা উল্টে যদি দেখি
অনেক হিসেব মেলানোর সত্যি আছে বাকি।
দুশো বছর নিংড়ে নিলো কোটি কোটি অর্থ
হিংসা শুধু চরিতার্থ কিংবা তাদের স্বার্থ।
পীড়ন শোষণ অত্যাচার লুট এবং ত্রাসে,
অখণ্ড ভারত বিপন্ন ছিলো ওদের ক্রুর শ্বাসে।
মোদের দেশের শিল্প ভেঙে ওদের শিল্প বিপ্লব...
ষাট শতাংশ শষ্য দেশের ব্রিটিশ ভোগে সব!
ভারতের গুদাম খালি করে ব্রিটিশ সেনা পুষ্ট।
চার্চিলের নীতি দুর্ভিক্ষ আনে এতই ছিল ধৃষ্ট!
দখল ভারতের তেইশ শতাংশ বিশ্বে অর্থনীতি,
নামিয়ে দিল চার শতাংশে করলো ধবংস ভীতি!
ওদের ডিএনএ এত বিষাক্ত প্রশংশাতে ভয়!
চুরির মালে ভরে কোষাগার ভাবে নিজের জয়!
অক্সফোর্ডের গবেষণায় উঠে আসে তথ্য,
কোহিনুর সাথে প্রচুর অর্থ চুরি করেছে সত্য।
পঁয়তাল্লিশ লক্ষ ত্রিশ হাজার কোটি পাউন্ড হবে
নিয়ে গেল ভারত হতে হিসেব কি হবে তবে।
গোটা ব্রিটেন বিক্রি করেও হবেনা সেই মূল্য,
নেতাজীকেও হারিয়ে দিল নেই সেথায় তুল্য।
একটা জিনিষ পারেনি নিতে ভারতের মেধা,
ওটাই বুঝি জব্দ করে ওদের বিকৃত ক্ষুধা।
তোমরা মোদের কেড়ে নিয়েছো দুটো আস্ত শতক,
মুখ বুঝে সহ্য করো এ ভারতের দশক।।