প্রণিপাত মহারানী, এই আর্যাবর্তের যোগ্য ধৃতরাষ্ট্র নয়
কারণ তিনি সম্পুর্ণ নয়, এটাই সত্য এতেই প্রজাদের ন্যায়।
মহারানী হন রুষ্ট, বলেন একি ধৃষ্টতা তব...
যিনি সবার জ্যেষ্ঠ তিনিইতো হবেন রাজা নব।
বিদুর কহেন আমি এই রাষ্ট্রে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ রই,
সত্য কঠিন হলেও প্রকাশ করতে কুণ্ঠিত নই,
শকুনি ক্রুর হাসি দিয়ে বলে তাহলে যোগ্য আপনিই কি
শুনে সভা মৌন, ভীষ্মদেব কহেন একি বাক্য ছি...
রানি ঝাঁঝিয়ে কহেন, উত্তর দেন মহামন্ত্রী অত্র,
উত্তর আসে, আমি বিদুর, এ রাষ্ট্রের কণ্টক মাত্র
ফুলতো দেবতার পায়ে…
আমি ধর্ম কণ্টক মানুষের হীত ন্যায়ে।
যেথা ধর্ম বিমুখ আমি খণ্ডিব তারে ,
শত খণ্ড হইলেও দ্বিধা নেই বিন্দুমাত্র কারে।
কণ্টক শুধু ফুলকে রক্ষা করে কিংবা বৃক্ষ
এই রাষ্ট্রে হিতের তরে বিঁধবো অনুক্ষণ, এ সেনা দক্ষ...
বিঁধবো প্রজারূপ নরনারায়ণের স্বার্থ ক্ষুন্ন হলে,
রাষ্ট্রের মেরুদণ্ডকে বাঁচাবো মোর ক্ষুদ্র বলে।
কণ্টক হবার গুরু দায়িত্ব ন্যস্ত মাথে মোর,
তা পালনে আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ঘোর।
মহারানী কহিলেন, চোখ বড় কথা নয়, মনশ্চক্ষু তার আছে।
বিদুর কহেন, সম্পুর্ন রাজাই যোগ্য মানুষের কাছে।
তিনি মন ও চোখ দিয়ে প্রজার কষ্টের রেখা পরতে পারেন,
সভাসদরা কিন্তু প্রজায় ধার না ধারেন।
পথে বাহির হলে রাজা সমাজের জলছবি দেখেন চেয়ে
পিতৃ স্বরূপ রাজাই প্রজাকে বাঁচান সর্বস্ব দিয়ে ন্যায়ে।
তার দৃষ্টি খুঁজে নেয় পরিস্থিতি তার রাজ্য সংসারের,
সে ক্ষেত্রে ধৃতরাষ্ট্র অপারক, ন্যস্ত এ গুরু ভারের।।