শুন্য দোলনা ওই ঝুলছে, বাতাসেতে দেয় দোলা।
সে বুঝিগো হাওয়ায় মিশে, দ্বন্দে সারাটা বেলা।
চম্পা বেলী ছুঁয়ে ছুঁয়ে সে, সারাদিন যায় খেলে।
তার গায়ের গন্ধগুলো, ভরাই বক্ষ মেলে।
চুপে থাকি গভীর মনে, পায়ের ধ্বনি পাই!
চমকে চেয়ে দেখে খুঁজি, সেতো আর নাই।
ঝরা বকুলের কান্নায় ভরে আমার সাঁঝবেলা।
স্বপ্ন হয়ে ভুলায় মোরে, করে বুঝি সে খেলা।
শীতের শুষ্ক উদাসী বাতাস, স্পর্শে সজাগ করে।
রাতের ঐ আধখানা চাঁদ, কাতর কোলের পরে।
বিধাতা তুমি বলবে সত্য, দংশিত আমি শোকে।
দুখের পরশ এতটুকুকি, ছোঁয়নি তব বুকে।
পৃথিবীতে কতো রঙের খেলা, ধরাতে ঝরে সুখ।
করলে কেন বঞ্চিত তাতে, ঘনালে আঁধার দুখ।
কেন তবে ভাঙলে হৃদয়, বইলো নিঠুর প্লাবন।
ভাসালে মোর মানিক রতন, ঘনালে চির শ্রাবণ।
রোজ প্রভাতে শিউলি সুখে, আঁচল ভরে ছিলাম।
ছিনিয়ে নিলে সেসুখ মোর, নিঃস্ব হয়ে গেলাম।
দুজন মিলে গাঁথা স্বপ্ন, ছড়িয়ে গেল ধুলায়!
দুটি পথ দুই মেরুতে বিলীন হলো হায়।