বাসস্টপ মানেইতো ভিড়
ল-ম্বা লাইন
কেউ ওঠছে, কেউ নামছে
পরিচিত দৃশ্যপট
আর কেউ আছে উঠছেওনা, নামছেও না
ঠাঁয় দাঁড়িয়ে আছে
হয়ত অপেক্ষা, সময় কাটানো
মেঘলা আকাশের মন ভার করা সময়ে
সেদিন অপেক্ষার দলে আমিও ছিলাম
বেশ কিছুটা সময়; তুমি আসবে সীমানা ছেড়ে
কেমন পুলকিত সারা মন
ফাগুন বনে লাগল আগুন দোলা
হরিষ চিত্ত ভাবছে এই বাসস্টপ মানেই আপন জন
বাস থেকে অনেকেই নামছে
সে মুখ গুলো কখনো
কোনো দিন পরিচিত নই
পর পর অন্যমুখে রাখি চোখ
অন্যরকম হাওয়ার তোড়ে
স্বপ্নভেলায় আচক্ষু প্রত্যাশা
নাহ্ তুমি নামোনি : যা যা দেখলাম
একটিও পরিচিত মুখ নয়
কী ভীষণ অস্থির গৃধ্র চোখ
ভেতরটা না দেখার উত্তেজনায় গলদঘর্ম
হঠাৎ কারো নিতম্বের ধাক্কায় স্থানচ্যুত হই
আবার যথাস্থানে দাঁড়াই স্ব-ভরে
কুন্তলে হঠাৎ বৃষ্টির ফোটা
বাস ফিরে যায় আর আসে
তবু নেই সেই মুখ
যে মুখ অস্থিত্ব জুড়ে
তোলপাড় করে যায় সারাবেলা
যে মুখ আনন্দ ঝর্ণা ধারা
বসন্ত বনে ডেকে ডেকে হয় সারা
যে লুলিত শব্দরাজি বিহবল করে যায়
অবারিত সময়কে
যে চোখ দেখলেও মন ভরে না
আরো দেখার আকুলতায়
যে কথা শুনলেও লোভী হই
আরো কিছু শোনার ব্যাকুলতায়
কই সে মুখ, কই সে বেভুল দেখা
তবে কেনো এই অপেক্ষা ?
ফিরে যাবার হোক উদ্যোগ;
পা বাড়াই ফিরতি পথে
যে দিকে যাবার গন্তব্য; হাঁটছি
অসম মনে চিত্রকথার ভিড়
মনে মনে বলছি এই বাসস্টপ
কেউ নই, না কোন আত্মীয়, না বন্ধু
বরং বেদনা বেদনা খেলা ; জল চোখ টলটল
তুমি তবে আসোনি কেনো...
মনে মনে বলতেই দেখি
একরাশ উজ্জল হাসিতে তাকিয়ে আছো
মুহূর্তে বিবশ দাঁড়িয়ে যাই
তারপর আলতো ছুঁয়ে হাত ধরে
টেনে নিয়ে পাশে দাঁড়ালে
অস্পুট স্বরে কানে কানে বললে :
মাধবী, এইতো আমি এসেছি ;
বুক থেকে নেমে গেল বেদনা পাহাড়
নীলাম্বরী লজ্জায় মুখে ফোটেনি আর কোনও ভাষা
কেবল মনে মনে বলা হলো :
মন বলছিল; তুমি আসবেই।