ও বনটিয়া,আপন ভোলা মনে কোথায় যাস উড়ে?
খড়কুটো কে সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছিস বুঝি তোর বন্য নীড়ে,
এই ছোট্ট গ্রাম পেরিয়ে,ঔ যে এক নদী,ওর পাশে এক বন,
ঐখানে বুঝি বসত করে তোর সব আপনজন।
ও বনটিয়া,এ প্রখর রৌদ্দুরে রূপালি ডানা মেলে,
যাওয়ার আগে আমার সাথে যা না একটু খেলে,
ধাতুর খাঁচায় বদ্ধ করব না তোরে,
দু-এক কলি গান শুনিয়ে না হয় যাস চলে ঐ দূরে।
ও বনটিয়া, এলোপাথাড়ি পথ বেয়ে বাতাসে সাঁতার দিস নিত্যদিন,
আমার শুধু একঘেয়ে জীবনের গোলমেলে রুটিন,
যদি আসতিস দিনে রোজ একবার করে,
প্রাণ খুলে কথা বলতাম সুখ দুঃখ নিয়ে।
ও বনটিয়া, তুই এতো ক্ষুদ্র, বন্ধুরা ঠোকর মারে তোরে,
শিকারীর ভয়ে জুবুথুবু হয়ে থাকিস, সর্বদা ক্ষুদ্র প্রাণ আশঙ্কায় কাঁপে,
তারচে বরং চলে আসিস আমার ছোট্ট তালপাতার কুটিরে,
বন্ধুহীন জীবনে একটা বন্ধু হবে মুঠোফোনের বাইরে।
ও বনটিয়া, তাহলে আর দাবানল আশঙ্কিত বনে নয়,ঈশান কোণে বেঁধে ফেল একটা বাসা,
ঘুরে বেড়াব নদী চরে, তুই উড়বি স্বাধীন চেতনে, দিনভর শুধু মজা আর মজা,
দিনশেষে খাটিয়ায় বসে তুই আর আমি করব
অনেক গপ্পো,
মুক্তপ্রানে রূপকথার পক্ষীরাজ অশ্বে চেপে সাতসমুদ্দর ঘুরবো।
ও বনটিয়া, এইভাবেই হয়তো কেটে যাবে জীবনের সবকটি দিন,
মানুষ প্রকৃতির এই চীর সম্পর্ক যেন কোনকালে না হয় বিলীন,
জাদুঘরে যেন না হয় স্থান,
কাঁচের বাক্সে বন্দী না হয়ে, থাকুক না
সকলের সম্পর্কের প্রতি টান।