স্মৃতি গুলো আজ বড্ড জ্বালাচ্ছে আমায়
সচেতন বা অবচেতন মনে উদাসীন হয়ে
ফিরে যাই সেই সে বেলার কথায়
কোন এক পূজোর ছুটিতে
সুস্থ নিঃশ্বাসের জন্য আপন করেছিলাম
সবুজ শ্যামলিমায় ঘেরা গ্রামটিকে
পথের ধারে কাশফুল
বিলে ছিল হাঁটুপানি
ক্ষেতের আলে আধো আধো কাঁদা
পুকুড় পাড়ে তুমি আর আমি
স্মৃতি গুলো আজ বড্ড জ্বালাচ্ছে আমায়
কোন এক ঈদের ছুটিতে
তুমিও এসেছিলে সেই গ্রামটিতে
লাউওয়ের মাচায় লাউ ঝুলানো
বাগানের গাছে বড়ুই,পেয়ারা
কাঁচা রোদ এর সমাহার উঠোনে
তার সাথে আমরা ও তোমরা
কোন এক শীতের বিকেলে
তোমার চোখে আমার চোখ খেলা করেছিল
আমার চোখ তোমাতে খেলা করেছিল
চোখের ভাষায় এক অন্যরকম খেলা
খেলতে খেলতে কেটে যায় বেলা
গোপনে হত চিরকুট এর আদান প্রদান
আর মূঠোফোনে মিষ্টি কিছু আলাপ।
স্মৃতি গুলো আজ বড্ড জ্বালাচ্ছে আমায়
প্রতি সন্ধ্যায় ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাক
রাতে গভীর কালো আঁধার
মাঝে মাঝে উঠোন হাসে চাঁদনিতে
আর আমরা মেতে উঠতাম কানামাছিতে
ভর দুপুরে খালি পায়ে তুমি হাটতে
শ্বসান ঘাটে নিস্তব্ধ নিরবতা
মাঝে মাঝে তুমি কবরস্থানে হেটে বেড়াতে
আর মুঠোফোনে আমায় বলতে
টুনটুনি,আমি অনেকদিন বাচঁতে চাই
যারা নিস্তব্ধে ঘুমিয়ে আছে ঐ নিরালায়
ওদের মত পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে চাইনা আমি
আমি তোমাকে ভালবেসে অনেক- দিন, অনেক-বছর,
হাজার বছর বাঁচতে চাই
আর আমি আহলাদে মিষ্টি হেসে বলতাম
এই টুনটুনির বর,
তুমি হাজার বছর,লাখো বছর,কোটি বছর
বেঁচে থাকবে আমার হৃদয়ে
আমার ভালবাসা দিয়ে বাঁচিয়ে
রাখব তোমায়।
স্মৃতি গুলো আজ বড্ড জ্বালাচ্ছে আমায়
দুটো আকাশ কে একত্রিত করে
বিশাল আকাশে এ রূপদান করেছিলাম
সেই আকাশে রোদেরা খেলা করত
রঙধনুরা আপন মনে ভাসত
আর মেঘেরা হাসত
হঠাত নভোমন্ডল কাঁপিয়ে তান্ডবীর ঝড় এসে
শত যত্নে ,ভালোবাসায় ঘেরা আকাশটিকে
চূর্ন,বিচুর্ন করে দিল
নিথর নিঃশব্দ হয়ে গেলাম আমি
আর তুমি নষ্ট হয়ে গেলে
আর আমি অবহেলায়,অবেলায়
দিন গুনছি তোমার সুস্থ হয়ে ফেরার প্রতীক্ষায়
এভাবে দিন ফুরিয়ে যায়
রাত আসে
আবার দিন
আবার রাত!