আমি বটতরুর মত শুয়ে আছি ধরাধামে
শিথিল দৃষ্টি, স্লথ বাক্যব্যয়ে
চোখে টলটল করে জল, বুক জমাট রক্ত ঘামে,
মৃদু চিত্কারে ডাকি, "মৃত্যু আয়।"
এর চেয়ে ঢের ভাল, বুলেট-বিদ্ধ মরণ,
যন্ত্রনা মাত্র কয়েক পলকের।
অথবা জলে ডোবা
কষ্ট? কয়েকটা ত মুহুর্তের।
তবে সবই এই দোদুল্যমান প্রানক্ষরণের
চেয়ে ঢের ভাল।
আমার আর মৃত্যুর অন্ধকারে
লুডো খেলা আরও বেশি কালো।
অনিচ্ছাকৃত ভাবে অতি ক্লান্ত দেহ
আশায় ঘুমের।
এ হেন আশা অঙ্কের নম্বরের চেয়েও হেয়
(তবে কত নম্বর, না বলাই শ্রেয়)
শুনতে পাচ্ছি শুধু একটা দুটো আলত শব্দ,
চেনা, অচেনা, আধাচেনা, অনেক।
শত্রুরা ভাবছে, বুড়োটা এবার হয়েছে জব্দ।
এসব কথা ভেবে,
বালিস ভিজল চোখ থেকে জল পড়ে গোটা দু-তিনেক।
চোখের জল শুকিয়েছে, বালিস শুকিয়েছে,
তবে প্রাণের রস আর শুকচ্ছে না।
চাই, মাথা ঢলে পড়ুক অবলিলায়,
চাই, নাম থাক আমার হৃদয় শিলায়।
দম ফুরিয়ে এসেছে, স্মৃতি ক্ষয়ে গেছে,
তবু মাথা হেলে না, ঢলে না।

যাক।।
পুরনো কথা ভেবে কি লাভ।
দাঁড়িয়ে আছি পুর্ণনগ্নদের সাথে,
পুর্ণনগ্ন হয়ে।
আশায় আমরা,
ঈশ্বর দেবে আমাদের এক ধড়।
নবজাতকের ধড়।
                                           ৩০/১১/২০১৩