চ্যাপ্টার -৫
আড়াই মাস পর ঘরে কোণে এসে দাঁড়ায় সতীনের ভাই,
তার বোনের অপরাধ ক্ষমা চায় আমার নিজের পা-য়,
স্বামী আমার পাগল হয়ে গেছে এসব জানায়,
বোনকে বের করে দিছে আছে বাপের বাসায়।
কিভাবে খুজে পেলে আমার এই নতুন ঠিকানা,
এই স্থান কেউ জানে না সবার কাছে অজানা,
কিভাবে জানলে তুমি থাকি আমি শাহপুরী পানা,
তোমার আসাতে আমার কাছে লাগছে অদ্ভুত পনা।
আমি এক সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার জানেন নিশ্চয়,
আপনার ফোন হ্যাক করে পেয়েছি ঠিকানা পরিচয়,
সেই সূত্র ধরে এখানে আসা হয়েছি সাকসেসময়,
আপনাকে নিয়ে যাব এই টা আমার দৃঢ় মনোময়।
তুমি কেন আসলে তাকে না পাঠিয়ে,
স্বপ্ন আমার ভেঙ্গে গেছে দিও তাকে জানিয়ে,
সুখের ঘরে দিতে চাই আগুন আমি গিয়ে,
খেয়ে দেয়ে চলে যাও আমাকে না নিয়ে।
দুলাভাইয়ের মাথা নষ্ট হয়ে গেছে আপনাকে ছাড়া,
আমায় এখন দেখতে পারে না হয়েছে মনুষ্যত্ব হারা,
আপনাকে নিয়ে যাব আর তার কাছে করাব খাড়া,
সারপ্রাইজ হবেন তিনি ক্ষমা করবেন আপনার দ্বারা।
জোরাজুরি তে বাধ্য হলাম যেতে তার সাথে,
পরেরদিন রওনা দিলাম অজানা পুলসিরাতে,
কি আছে ভাগ্যে আমার জানি না এই মুহূর্তে,
কি হবে আমার সাথে জানতে পারব আজ রাতে।
তার কথা বিশ্বাস করে মরেছি এবার আমি,
সৃষ্টিকর্তার আবর্জনা আমি বুঝিয়ে দিলে তুমি,
স্থান হল নিষিদ্ধ পল্লীতে হারিয়ে ফেলেছি নিজের ভূমি,
ঢাকা এসে দিলো বিক্রি করে মরে গেল জন্মভূমি।
দরজা লাগিয়ে বসে থাকলাম আসতে দেই নি কাউকে,
খাবার দাবার বন্ধ করলাম অনুরোধ করতে থাকি সকলকে।
চতুর্থ দিনে ক্ষুধা জ্বালায় খাবার চাইলাম ভুলে জিদ কে,
খাওয়া পর ঘুমিয়ে পড়লাম ভুলে গেলাম নিজেকে।
পরে দিন বুঝতে পারি কিছু হয়েছে আমার সঙ্গে,
একটু পর ভিডিও পায় আমার অন্তরাঙ্গে,
বুঝতে পারি ঘুমের ঔষধ ছিল খাবারের সঙ্গে,
সেই সুযোগে আমার শরীর নিয়ে করে খেলা কত রঙ্গে।
তাদের কথা রাজি না হলে পাঠাবে এভাবে কাস্টমার,
সেই ভিডিও ধারণ করে হবে অর্থের মালামার,
শেষ মেষ রাজি হয়ে গেলাম হলাম মিস মনিহার,
প্রতি দিন আসত পুরুষ দামি দামি কাস্টমার।