চ্যাপ্টার -৪
তিন বছর থাকলাম আমি একা একা অজানা এক শহরে,
ঘরে বসে ঘরতাম কাপড় সেলাই অর্ডার দিয়ে যেত ঘরে।
আমার পাশে রুমে থাকত এক ব্যাংকার পছন্দ করত মোরে,
ধীরে ধীরে বিবাহটা হয়ে যায় ঢাকা শহরের ভিতরে।

শহর থেকে অন্য শহর কেন করে করতেছিলেন গমণ,
আত্মীয়-স্বজন বলতে কি কেউ ছিল না আপনার আপন।
দাদা-দাদী বা নানা-নানী কোথায় ছিল তোমার প্রিয়জন,
কেন যাও নি তাদের কাছে কেন করেছিলে অনশন ।

দাদা-দাদী কেউ ছিল না বাবা ছিল ফেরারি,
প্রেম করে মাকে করে বিয়ে নানারা করে আড়ি।
যোগাযোগ ছিন্ন করে সম্পর্ক হয় ছাড়াছাড়ি,
আমার জীবনে শূণ্যতা নেমে আসে তাড়াতাড়ি।

পুরুষ ছোয়া বিহীন অবিবাহিত জীবনে  থাকা যায় সারাজীবন,
একবার পুরুষের ছোয়া পাইলে যৌবনে ডেকে আনে মরণ।
আমি এক মেয়ে মানুষ পেয়েছি একাধিক যৌবনের বিজারণ,
সতীনের ঘর জেনে বিয়েটা করে ফেললাম সাক্ষী ছিল স্থানীয়গণ।

বিবাহ খবর শুনে চলে আসে সতীন থাকবে আমাদের সাথে,
খুশি মনে দিলাম জায়গা আমার এই ছোট্ট কুটিতে।
দ্বিতীয় বিবাহ কেন করল ঝগড়া করে স্বামী সাথে।
অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিবাহ আছে কোন নীতিতে।

আলাদা ফ্ল্যাটে থাকলো সে অন্তরে ছিল হিংসা,
সুযোগ বুঝে করবে ক্ষতি এই ছিল তার ভালবাসা।
সন্তান সম্ভাবনা ছিলাম আমি স্বামী মুখে ছিল খুশির নেশা,
সেই সন্তানের সুখ হল না আমার দিল ভাগ্য সুখের নিরাশা।

জীবনের প্রথম সন্তান নষ্ট হল সতীনের ছল-চাতুরীতে,
বুঝতে আমার একটু লেট হল তার মিষ্টি কথাতে।
দুবার মাতৃত্ব হারালাম তার খাওয়ানো ভিটামিন ওষুধে।
সুখ পরাণের পাখি আমার পর হল রাক্ষসী মা হওয়াতে।

এক দিন চলে আসলো সেই কষ্টের চিঠি দিয়েছে মোরে ডিভোর্স,
ঠিকানা আমার উড়ে গেছে হারিয়ে ফেললাম নিজের বিবেক হুশ।
সমাজ থেকে বের হয়ে আসলাম খোজলাম এক নতুন সোর্স,
তাদের প্রতি নেই কোন হিংসা -দ্বেষ সবি ছিল আমার কপালের দোষ।

এই সময় দেখি আমি তার চোখের ঝরছে নোনা পানি,
তার গল্প শুনে আমারও মনটা ভেঙ্গে গেছে অনেকখানি।
এই বয়সের ভাগ্য পরিবর্তন সত্যিই করেছে তার সাথে বেইমানি,
সৃষ্টিকর্তা  কেন দিচ্ছে বার বার তাকে এই কষ্টের গ্লানি।
    (১৭/০৮/২০২২)
---------চলবে