চ্যাপ্টার টু
আমার পরিচয় দিই এবার-আমি রিয়াদ করি শিক্ষকতা,
পরে দিন মোহিনীর গল্প শুনা জন্য শুনতে থাকি তার কথা।
কণ্ঠ তার মায়াবী নাকি কোকিলা আহা! কি তার মধুরতা,
চ্যাপ্টার টু করল শুরু আর শুনতেছিলাম তার মানুষিকতা।
রেজাল্ট ছিল মোটামুটি ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়া যায়,
গোপনে কেন পড়লাম এই বলে নির্যাতন চালায়।
ধীরে ধীরে বাবা হয়ে যায় তালুই সময় এসে জানায়,
নিজের বাড়িতে হয়ে যায় বোঝা তাদের ব্যবহারে বোঝায়।
জোর করে বিয়ে দেয় পরে মাসে পড়াশোনা হয় ছাই,
স্বামী আমার রাজকুমার সকল আবদার মিটায়।
চলছিল সুখের সংসার সকলের ভালবাসায়।
বাপের বাড়ি কষ্ট গুলো গেলাম ভুলে তাদের ছোয়ায়।
স্বামী আমার ছুটি শেষে চাকুরী জন্য শহরে গেল বাসে চড়ে,
একটি দুর্ঘটনায় আজরাইল এসে নিল তার প্রাণ কেড়ে।
আত্মীয় স্বজনের শোকের ছায়া পড়ছে এই ছোট ঘরে,
স্বামী লাশ আসলো বিকালে দাফন হল ৩ ঘণ্টা পরে।
অল্প দিনের বড় আঘাত করল আমায় বাকরুদ্ধ,
সাত দিনের মাথায় হলাম বিধবা সমাজ করে আবদ্ধ।
বের করে দেয় স্বামী বাড়ি থেকে ঠিকানা হয় অবরুদ্ধ,
বাপের বাড়ি হলো ঘর বের করে আমায় সকল গোত্র।
দুঘর থেকে বিতাড়িত হলাম ঠাই নিলাম শহরে,
গার্মেন্টসে জব নিলাম ভবিষ্যতের চিন্তা করে।
কেউ রাখি নি খোজ খবর আছি কোন চরে,
ভুলে গেলাম আমিও আছি নিজের মত করে।
এই হল আমার চ্যাপ্টার টু কষ্টের ছড়াছড়ি,
সুখ পাখি উড়ে গেছে করছে কোথায় ঘুরাঘুরি।
লোডশেডিং এর মত এসে আমায় ঘুড়ায় ঘুড়ি,
আর ভাবি না সেই পাখির কথা যত আসুক সুখকড়ি।
০৭/০৮/২০২২
----------চলবে