প্রতিদিন আসত এক মেয়ে পড়ন্ত বিকাল বেলায়,
নীল শাড়ি পরে আসত সে  নদীর মোহনায়।
অপরুপ সেই মেয়ে দিনে বেলায় জ্যোৎস্না ছড়ায়।
প্রতিদিন দেখতাম পড়েছিলাম তারা মায়ায়।

অন্যমনস্ক থাকত সে আর চেয়ে থাকত নদী দিকে,
একা একা কি জানি বলত কথা নিজেরি সাথে।
সময় নিয়ে একদিন তাকে ধরিলাম কথার বাঁকে,
চিন্তা চাপ কেন তোমারি ঐ মায়াবী চোখে।

জীবনের গল্প অনেক লম্বা শুনতে চান এর ইতিহাস?
দিন ফুরিয়ে রাত আসবে আটকে যাবে নিশ্বাস।
চ্যাপ্টার বাই চ্যাপ্টার এই টা আমার প্রয়াস।
সুখের লাইফ ধ্বংস হয়ে আসলো কিভাবে সর্বনাশ।

নাম আমার মোহিনী থাকতাম নারায়ণগঞ্জ সদর,
মা-বাবার খুব প্রিয় ছিলাম করত কতই না আদর।
সেই সুখ পাখি স্থায়ী হল না মা হয়ে গেল পর,
১০ বছর বয়সী মা হারালাম কষ্ট দিত রাতভর।

৩ মাস পর করল বাবা দ্বিতীয় আরেকটা বিয়ে,
সৎ মা আসলো বাবার ঘরে হিংসা মনে নিয়ে।
পড়াশোনা আমার ছাই হল স্কুলে না গিয়ে,
কষ্ট করে করলাম ম্যাট্রিক পাশ গোপনে যেয়ে।

এই হল জীবনের প্রথম চ্যাপ্টার সর্বনাশের গুরু,
বাকি চ্যাপ্টার এখান থেকে হয় পর্যায়ক্রমে শুরু।
জীবনটা ছিল তরু মত আর শেষে হলাম একটা পরতরু।
আজ আমার সময় শেষ বাকি গল্প কালকে করব শুরু।
................চলবে
(০৫/০৮/২০২২)