আজকে যে শহরময় ছোটাছুটি-
মোটরযান, রিকশার হুড়োহুড়ি-
সব কিছু ছাপিয়ে,
একটি কথাই সত্য।
কলের নগরীর আকাশে বাতাসে
আজ শুধুই ব্যস্ততা।
আজ কেউ শরতের আকাশে
মেঘমালা দেখে না।
রাতের আকাশে আজ চাঁদের হাহাকার,
তারাদের বিলাপ।
এ নগরীর প্রাণীদের লোভাতুর দৃষ্টি আটকে আছে
রেস্টুরেন্ট এর সুদৃশ্য খাবারে।
প্রেয়সীর চোখের দিকে ভালো করে তাকানোর
সময় কই?
তারচে বরং দুজন মিলে একটা সেলফি তোলা হোক।
ফেসবুকের বাজারে ভালো দরে বিকোবে।
ধুসর নগরীতে বাঁধা পড়েছে প্রাণ-
চৈত্রের দুপুরে ঘেমে নেয়ে একাকার হয়ে
হন্তদন্ত হয়ে হেঁটে যাওয়া।
আর
যানজটের মিছিলে আটকা পড়ে-
মহাকালের খাতায় মহাকাব্য লিখে যাওয়া।
আর
শূণ্য ঘরে,
গৃহিনীর অপেক্ষা।
একটা সময়, সবাই ঘরে ফেরে।
অফিসের বড় কর্তা,
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র,
রিকসাওয়ালা,
কুলি,
মুটে,
মজুর।
সবাই।
নির্জন রাতে এ শহরের প্রতিটি ঘরে-
সৃষ্টি হয় একেকটি কবিতার পটভূমি,
একেকটি গল্প; একেকটি উপন্যাস।
কিন্তু ভোর হওয়ার আগেই;
মহাগ্রন্থের পাতা থেকে সব মুছে যায়।
ফাগুন হাওয়া বয়।
কালান্তরেও তার রঙ বদলায় না।
বৈশাখ, আঁষাঢ়, ফাল্গুন;
এ শহরের গল্পকে, কেউ বদলাতে পারে না।
চক্রের শহর যেন এ।
আজ
একবিংশ নগরীতে ঢাকা পড়েছে-
একবিংশ নাগরিকের সকল অস্তিত্ত্ব।