আজ গভীর রাতে চড়ে গেছে নেশা।
সমস্ত কালের কঠিন বাস্তবতায় আমি সওয়ার হয়েছি।
অর্থহীন দুঃস্বপ্নের সাক্ষী থেকেছি মাঝে।
অথর্ব বেহুশ কল্পনায় আলপনার রঙ মেখেছি বার বার।
আজ গভীর রাতে চড়ে গেছে নেশা।
সবুজ দেয়ালের সাথে রাগ করে ভাত খাইনি আজ।
খয়েরি রঙের তেলাপোকার ডানা কেটে দিয়েছি।
স্বপ্নের আকাশে কোনো মতে তাকে আর উড়তে দেবনা।
সকালের আলোয় রঙ্গিন আকাশে –
রবীন্দ্রনাথের প্রেতাত্মা দেখেছিলাম।
দুপুর গড়াতে না গড়াতেই সেখানে দেখেছি;
ক্লান্ত আমি, শ্রান্ত আমি,
পরাজিত দৌড়বিদ আমি।
জল তেষ্টায় কাতর আমি।
সেই রঙ্গিন আকাশে এখন শুধুই আমার প্রেতাত্মা।
ফিঙে পাখির ডানায় ভর করে মহাকাশে যাওয়ার গল্পটি-
এখন শুধুই গল্প।
একখন্ড মহাসাগর দেখতে চেয়েছিলাম।
অক্টোপাসের শুঁড় ধরে জিদ করেছিলাম;
কিন্তু সেই অক্টোপাস আমায় সাথে নেয়নি।
আলগোছে আমার চোখে রঙ্গিন ধুলো দিয়ে পালিয়েছে।
বিকেলে বৃষ্টিতে ভিজতে গিয়ে দেখি-
আমার গায়ে বৃষ্টি লাগে না।
তরল বৃষ্টি ,কঠিন শিলা বৃষ্টি হয়ে
বারবার হুমড়ি খায় আমার ওপর।
অবশেষে, আজ রাতে একা হেঁটে;
গিয়েছিলাম ছোট্ট একটি ঝোপের ধারে—
জোনাকির আলোয় নিজেকে একটু রাঙাতে।
কিন্তু, এখন যে জোনাকিরা জ্বলে না।
জোনাকির নগরীতে আজ লোডশেডিং।
ফিরে চলি, বাড়ি ফিরে চলি,
একটুকরো অবকাশ তো পাব।
ক্লান্ত আমি, শ্রান্ত আমি,
পরাজিত দৌড়বিদ আমি,
জল তেষ্টায় কাতর আমি।
একটুকরো অবকাশ তো পাব।
আজ গভীর রাতে চড়ে গেছে নেশা।
বাতাসের ধমকানি উপেক্ষা করে খোলা রয় প্রকান্ড জানালা।
কোথাও কেউ নেই; কিচ্ছু নেই; তারারাও নিভু নিভু,
অন্ধকার আকাশে, রঙধনু খুঁজে যাই তবু