আজ থেকে বারো বছর আগে,
বিলের জলে পা ডুবিয়ে শীতল হাওয়ায়;
এই খানেতে তোমার সনে
মুখোমুখি বসেছিলাম বিকেল বেলায়।
ভারী গলায়; সজল চোখে,
বলেছিলে আমায় তুমি অনেক কথা।
শুনে গেছি , শুধু শুনে গেছি-
বললে কিছু হতো সবি কেবল বৃথা।
তারো আগে, সঞ্চয়িতা,
এই খানেতে তোমার আমার প্রথম দেখা।
ভয়ে ভয়ে বলেছিলাম,
কবিতা যা প্রথম ছিল আমার লেখা।
বিলের ধারে শানবাঁধানো ঘাট,
বলবে সিড়ির ধাপগুলো সব একেক করে।
কেউ যদি আজ প্রশ্ন করে
সেদিন আমি কী বলেছি তোমার পরে।
দিনগুলো সব হারিয়ে গেছে,
এখন তুমি প্রৌঢ়া প্রায় মাঝবয়েসি।
আমারও আজ পাঁকছে দাঁড়ি
ঝরছে মাথার চুলগুলো, এই থামাও হাসি।
হাসছ কেন, সঞ্চয়িতা?
হাতের এই পোড়া দাগটি পেলে কোথা?
ও, বুঝেছি-
আজ তো তুমি সংসারি মেয়ে-
রান্নার হাত কেমন তোমার, বলবে কথা?
যখন তুমি বলেছিলে
“কাল বিকেলে এই সময়ে হবে দেখা”
তারো পরে বলেছিলে
“মোদের হবে যা আছে এই বিধির লেখা”
আমার হাতে হাত রেখে তাই-
বলেছিলে দু’জন মিলে পালিয়ে যাব।
সামনের মাসে তোমার বিয়ে,
আর আমি? অপদার্থ!! বলেছিলাম,
তোমায় নিয়ে কোথাও গিয়ে, ক্ষুধা পেলে কী খাওয়াব?
এখন আমার অনেক আছে
চাইলে তোমায় রাখতে পারি বুকে ধরে।
কিন্তু... থাক সে কথা।
ছেলেমেয়ে কেমন আছে?
আর তোমার বর? সে কী করে?