আজো গোরস্থানের মাটি হতে আঁতরের গন্ধ পাই।
এই মাঠ,পাখির গান,আকাশমনি গাছ,
চিনিয়েছিলে হাতে ধরে ধরে।
বুঝিয়েছ পরান খুলে,কোথায় কোন দিক;
পৃথিবীর সব ভুল আর পৃথিবীর সব ঠিক।
আমি খুব ভীত ছিলাম।
ভয়ে গুটিয়ে থাকতাম আমার ছোট্ট কুঠুরিতে।
আমার হাত ধরে নিয়ে গেছ সকল অজানায়;
সেই পথেই হেঁটে পেরিয়ে গেছি সকল অন্তরায়।
যখন মেঘ ডাকত জোরে,
পৃথিবীর বুক থেকে সব আলো,
বিদায় নিত সন্ধ্যায়,
অন্ধকারে পথ হাতড়ে বেড়াতাম।
একটি মশাল তখনও জ্বলত।
দাউ দাউ করে জ্বলত।
সেই মশালের আলো ছড়িয়ে যেত দিগ্বিদিক।
সকল আঁধার পথ খুঁজে নিত
অন্য কোন গ্রহে।
যখন হাওয়া বইত জোরে;
উত্তাল সমুদ্রে ফুসে উঠত ঢেউ।
ক্ষুদ্র নাঁও যখন-
পাগলা গারদের ঘণ্টার মত উঠত নেচে।
হতাশ মাঝি,
এদিক ওদিক তাকাতাম।
দেখতাম-
কে যেন তীরে,আছে দাঁড়িয়ে,হাতে নিয়ে গুন।
আমায় নিয়ে চলছে ফিরে, আমার বাড়ির উঠোন।
এখন আর তাঁকে দেখি না।
তাঁকে দেখা যায় না।
বাড়ির আঙিনাতে কৃষ্ণচূড়া গাছটি দেখা যায়।
তাঁকে দেখা যায় না।
নদীর ঘাটে কচূরীপানা ফুল দেখা যায়,
তাঁকে দেখা যায় না।
অন্ধকারে জঙলার মাঝে জোনাকির মেলা,তাও দেখা যায়।
তাঁকে দেখা যায় না।
তাঁকে দেখা যাবে না।
তাঁর গায়ের গন্ধ আজো পাই।
হাজার সুগন্ধির থেকে সেই ঘ্রাণ
আলাদা করতে পারি।
তাই আজো আমি,
গোরস্থানের মাটি হতে আঁতরের গন্ধ পাই।