আমার বারান্দায় বৃষ্টির ছাট পড়েছে।
বৃষ্টির ঝাপটায় জানালার কাচ;
কুয়াশার ঘোলা আবরন।
টিনের চালে ঝমঝম নৃত্যের মূর্ছনায় বিভোর আমি
বাইরে গিয়ে দাঁড়াই।
মনে পড়ে অনেক কথা।
তোমার সাথে এই বৃষ্টিতেই দাঁড়িয়েছিলাম
সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের সেই-
কামরাঙা গাছের নিচে।
মনে পড়ে-
সেদিন তোমার চোখের পাপড়িতে,
বিন্দু বিন্দু বৃষ্টির জল জমেছিল।
সেই জলের প্রতিটি ফোঁটায় দেখেছিলাম-
সীতাকুণ্ডের ঝর্নার ধারা।
তোমার ভেজা চুলে ডুবেছিলাম
বঙ্গোপসাগরের অসীম গভীরতায়।
সেদিন তুমি হেসেছিলে।
তোমার সেই হাসি;মিশে গিয়েছিল
প্রমত্তা পদ্মার প্রতিটি ঢেউয়ের ভাজে।
সেদিন তুমি বলেছিলে কথা।
আমি শুনেছি-
এক ঝাক শালিকের মুখর বুলি।
সেদিন তোমার হাত ধরিনি।
তোমার ঠোঁটে জমে থাকা বৃষ্টির ফোঁটা
ছুঁয়ে দেখিনি।
জানতাম না,
সেদিনের সেই বৃষ্টি’ই ছিল
তোমার সাথে আমার শেষ দেখার উপলক্ষ।
আজ,
আমার বারান্দায় বৃষ্টির ছাট পড়েছে।
বৃষ্টির ঝাপটায় জানালার কাচ;
কুয়াশার ঘোলা আবরণ।
সেই বৃষ্টি আজো আছে।
পদ্মা,শালিক,সীতাকুণ্ড,বঙ্গোপসাগর;
সব আছে।
শুধু তুমি নেই।
কথা,হাসি,চোখের পাপড়ি;
কিছুই নেই।
হয়তো আছো।
বলছ কথা।
হাসছ অবিরত।
সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের সেই-
কামরাঙা গাছের নিচে।