রঙিন দোলনায় দোল খেতে খেতে
যুবক বেলায় আজ আমি সৌখিন।
স্বাধীনতার দীপ্ত সূর্য আমি আমার
ঘরের শো-পিস করে রেখে দিয়েছি।
জীবন উপভোগের তাড়নায়,
আজ আমি মুহ্যমান হয়ে আছি;
স্বেচ্ছাচারিতার ডুবন্ত এক শহরে।
আধুনিক বিনোদনের লোভে,
ত্যাগিয়েছি স্বদেশের সজীব সবুজ সংস্কৃতি।
বহুতল অট্টালিকার চূড়ায় বসে,
মাটির সোঁদা গন্ধ নিতে ঘেন্না লাগে আমার।
আষাঢ়ের মেঘমালা আমার কাছে অর্থহীন।
তারচে নাইট ক্লাবের রঙিন আলোকচ্ছটাই
আমার স্বর্গীয় সুখের মাধ্যম।
রবীন্দ্রনাথের কথামালায় ঘুম এলেও,
লিংকিং পার্কের কর্কশ গান,
আমার কাছে জাগরণীর মূলমন্ত্র।
দেশীয় শিল্পীর গান,
আমার কেবলই হাস্যকর লাগে।
পশ্চিমা চলচ্চিত্রের নিগূঢ় রহস্য উন্মোচন করে
বলি, "এ দেশের বাংলা ছবি মানুষ দেখে?"
হ্যাঁ।
দেশের সবকিছু নিয়ে ভাবি আমি।
দুশ্চিন্তায় রাত্রি যাপন করি না।
হতভাগী বাংলার দুঃখে দুঃখিত হয়ে,
ফেসবুকে বিকৃত বাংলায় অনুভূতি দিই।
কারণ;
আমি সৌখিন,
সৌখিন দেশপ্রেমিক।