একটা বৃষ্টির স্নানের সন্ধ্যা কেটে গেল তোমার আমার,
আধুনিকতা এতই প্রখর যে সন্ধ্যার অন্ধকার উপভোগ থেকে বঞ্চিত করেনি কেবল,
মোমবাতি জ্বালিয়ে যে আমি তোমার প্রাচীনতম রুপ দেখব সে ভাগ্য টা কেড়ে নিল
ততাকতিত ল্যাম্পপোস্টের হতে শহরের উঁচু উঁচু ভবনের চাকচিক্য,
ছেয়েছিলাম অন্ধকারে তোমার হাজার বছরের অবয় দেখব, সন্ধ্যা ও এল, বৃষ্টির স্নান ও হল অথচ এই শহরের কলকাকলির ধ্বনি, আমায় বিষণ বিরক্ত করল, তুমি তো এসবের সাথে অবস্তু, দিব্যি জীবন যাপন করছ, একদম আর্টিফিশিয়াল।
আচ্ছা তোমার কি কখন ও ইচ্ছা হয় না আমার মতন করে একটু ভাবতে, একটু হলে ও জীবনের গান গাইতে, তুমি তো জান, শোনা সংগীত অনেক মধুর, কিন্তু যেটা এখন ও শুনার বাকি, সেটার মাধুর্য তো আর ও বেশি,
তুমি যদি এই শৃঙ্খল জীবন অল্প সময়ের জন্য হলে ছুরে ফেলে, আমার সাথে আরাধনায় মনোনিবেশ করতে, খুব একটা কি ক্ষতি হত?
এক জীবনে তো, মানুষ কত কিছুই না আন্তত্যাগ করে, অথচ তুমি, রক্তে মাংসে এক জীবন্ত নারী হয়ে ও কত দূর! এভাবেই কি এক দিগন্ত সমান দূরত্ব থাকবে?
আশার আলো কি কখন ও জ্বলে উঠবে না,
সে কি সর্বদা অন্বেষণে?
আহ, চাইলে তো তুমি সুখ, সোহাগি হতে পারতে, নিছক এত দূরত্ব!