রবীন্দ্রনাথের কবিতার মতো ভালোবাসতাম তাকে
সে বাসত বিজ্ঞানের সূত্রের মতো ,
জীবন নিয়ে আমাকে বোঝাত সে
মুচকি হেসে বলতাম, তুমি ঠিক সুনীলের নীরার মতো।
সবসময় কবিতা লিখতাম তাকে নিয়ে
আর সে বোঝাত অন্ন ছাড়া বেঁচে থাকা দায়,
ভাবছেন তবে বৈপরীত্যে ভালোবাসা নেই
অবশ্যই আছে, ভালোবাসা যে বোঝাপড়াটাই চায়!
তার কৃষ্ণকালো চুলের প্রেমে পড়তাম
একবার না বারবার
তার বিষাদ মাখা হাসি যেন
হৃদয়টাকে করত বেদনায় ভার ।
তাকে সাহিত্যিকের গল্পের মাঝে কল্পনা করতাম
সে হয়ত করত কোন আদর্শবান ব্যক্তির মাঝে
সপ্ত সুরের মাঝে তাকেই খুঁজতাম
ঠিক পূর্ণিমা রাতে আকাশ যেমনি করে সাজে।
প্রকৃতির সব সুন্দরের মাঝে তাকে খুঁজতাম
আর সে দিত বাস্তবতার উদাহরণ,
তার কথা আমি বুঝতাম বটে
কিন্তু কেনো যেনো বুঝত না আমার মন।
ভাবছেন ভারী একরোখা নাকি সে
একদমই না সে তো সরলভাবে বাস্তবতা ধরত তুলে,
কবির সাথে ভালবাসা হলেও
কাব্যের দ্বারা কি আর সংসার চলে ?
প্রশ্নটার উত্তরে না বলা সহজ ছিল না মোটেই
তাইত সে বারবার বোঝাত আমায়,
দশ টাকার চা আর ঝালমুড়ি খাওয়ানো প্রেমিক তুমি
পরিবার আমার কেন মানবে তোমায় ?
তুমি তো জানোই
কত ভালবাসা এভাবে গল্প হয়ে যায়
চোখে মুখে আকুল আবেদন ছিল তার,
মুচকি হেসে বলেছিলাম সেদিন,
ব্যর্থ ভালবাসার নতুন কোনো গল্প সৃষ্টি হলে সার্থকতা টা কিন্তু আমার!
অশ্রুসিক্ত চোখে সে বিদায় নিয়েছিল সেইদিন
ভেবেছিলাম সময়ের স্রোতে অভিমান যাবে গলে ,
কিন্তু সেদিন বুঝিনি জীবনের কাছে হেরে
প্রেয়সী আমার যাবে আমায় একা ছেড়ে।
অনেক সকাল সন্ধ্যা কেটেছে তাকে ছাড়া
কেটেছে না জানি কত প্রহর ,
ভালবাসার গল্পগুলো এভাবেই অপূর্ণ থেকে যায়
অপূর্ণ গল্পে পূর্ণতা পায় অগণিত স্বপ্নের বহর।
সে হয়তো শুন্যতার মাঝেই পূর্ণতা খুঁজে
অন্য কারো মাঝে কল্পনা করে নেয় আমাকে,
অবাক জোছনা কিংবা রক্তিম গোধূলী হোক
আমি এখনও সব সুন্দরের মাঝে খুঁজি তাকে।
খুঁজে যাওয়াটা দোষের নয় মোটেই
তাকে ভুলে যাওয়াটাই বরং দোষের
ভালবাসা তো ভোলা যায়না
কেবল ভুলে থাকার অভিনয় করা যায় বটে।
একদিন হয়ত কেটে যাবে সব কিছু শূন্যতায়
আবার আসবে নতুন একটা সূর্যোদয়,
কিন্তু তাকে ভুলে যাবো না কখনোই
সে যে আমার স্মৃতিতে থাকবে সবসময়!