পাইন পাতায় ঝুলন্ত উপন্যাস,
আজ ঝরে গেছে।
ইতিহাসের হাতছানি এড়ানো যায়না।
কবিতার বোবা আর্তনাদ
মা মশলার কৌটোয় তুলে রাখে।
আজ প্রতিবাদী কলম
অকবি'র হাত থেকে মুক্তি চায়।
ভাঙা বিকেলের রন্ধ্রে রন্ধ্রে
গজায় আগাছা।
কনকনে শীতে মৃতপ্রায় স্বপ্নের দল
আবার নিজের অস্তিত্বের প্রমাণ দেয়।
নীরব দুপুরের প্রত্যেক দীর্ঘশ্বাস
কানে বড়ো বাজে।
ছবি আঁকতে গিয়ে সাদা রং বড়ো মনে ধরে।
অনন্তের শরীরে সময়ের কারুকাজ;
তা আজ ধুলোয় মলিন।
স্মৃতির শহরের বাসিন্দারা
আজ আমার অতিথি।
তাদের রক্ত নীল নয়;
আমার রক্তর মতোই লাল।
অন্তরালে তারা শুধু আমার সাথেই কথা কয়।
আজ জুয়াতে আবার জ্যাকপট,
তবুও যেন সব খোয়া গেল।
ঠান্ডা আগুনে হাত সেঁকলে
হাত গরম হয়না।
ডানা কাটা বিহঙ্গ আজও আকাশে বাঁধা।
মা বলে, "হাত ধুয়ে খেতে আয়"।
হাত ধুলেই কি হাত পরিষ্কার হয়?
সাবান দিয়ে বারবার হাত ধুই;
তবুও রক্তের দাগ যায়না।
খুনী'র হাতে 'খুন'-এর দাগই শোভা দেয়;
কলম নয়।
মা, খুন আমি অন্তরালেই করেছি।