প্রিয় পত্র পাঠিকা
অমর কাব্য
প্রিয় পত্র পাঠিকা
যেদিন তুমি অামায় জেনে ছিলে জুলি
সে দিন অামি রাহোল ছিলাম
কিন্তু অামার বড় পরিচয় ছিল
অামি এক জন শুধুই ছেলে।
অাজ তুমি যাকে দেখছ জুলি
সেই একই রাহোল
কিন্তু আজ সে সত্য পুরুষ
যার বুকের পাঁজর আছে
পাঁজরের চাপের স্পষ্ট বাক অাছে
কপলে ঘামের ছাপ আছে
কাপলে জীবনের তাড়না অাছে
অাবেগের পোড়া ছায়ের ভত্স অাছে।
এমন আরো অনেক কিছু অাছে
একটা পুরুষের যা যা তুমি খুজে ছিলে
সেখানে এখন অাবেগের স্থান হয়না
কল্পনারা পাইনা তিল পরিমাণ অাশ্রয় ,।
ভালবাসা নামক যে প্রেতাত্মার জন্য
পৃথিবীর সবাই কাঙাল হয়ে কাতর থাকে
সেই পদার্থের মূল্য আজ
আমার কাছে একেবারে মূল্যহীন।
তুমি হয়তো জানবে একদিন
আমি এখন অনায়াসে মিথ্যে বলতে পারি
চোখে চোখ রেখে খুব সহজে
তিল কে তাল করতে শিখেছি।
রিপুর তাড়নায় এখন আর
পাইনা বিবেগ লোপ,,,,,
অভ্যাস জিনিস টা বড্ড ভয়ংকর
শত কষ্টকে ও খুব সহজে পুড়িয়ে
পোড়া ছায়ের ভত্স বাতাশে মিলেয়ে দেয়।
কত কিছু এখন মানিয়ে নিয়েছি
অবুজের মত আর বলিনা
কখনো জীবনে কমপ্রোমাইজ করবোনা।
আসলে জীবনের সঙ্গা জনে জনে ভিন্ন
কিন্তু আদো কোন ভিন্নতা নেই
যখন তীব্র হৃদয়ের যন্ত্রনা, হয়ে ওঠে বন্য।
এই দেখনা আপনা আপনি এখন আর
পত্র কবিতার মিতালি নিয়ে মাতিনা
ভুলেই গেছি ডায়রির কোন পাতা টায়
তোমার নাম লিখা অাছে বা ছিল।
যদি জানতে চাও পয় পয় করে
গত চৈত্র সংক্রান্তি থেকে এই চৈত্র পযর্ন্ত
সকল পাথির্ব হিসাব কড়ায় গন্ডায় কষে দেব।
বাঙালির মধ্যবিত্তের ছেলে বলে কথা
সামানের পোষে টুপুর মাথায় দেব
অনেকটা পিতা আর মাতা মহের বংশ রক্ষাতে
শখুন তলা কে বিশেষ জানিনা
কিন্তু এই পাচালি খানা তাকে খুব করে খুজছে
আজও বুঝে ওঠতে পারিনি
রাজা দুষম্তের দায় না ঋণ বেশি ছিল।
অনেকে ভালবাসা কে দায় ভেবে নেয়
আর আমি মানুষের শ্রদ্ধা আর স্নেহময় মুখ খানা
অাপন দায়ে, দায় ভেবে লই।
বিশেষ আর কি লিখব
ইতি তোমার স্নিগ্ধ রজণি গন্ধার বাহক বেয়ারা
যে মালি শুধুই রজণীর উৎপাদান আর বিপণন জেনে রয়ে গেল।