ভাবলাম ক'টা দিন গ্রামের বাড়ি থেকে
ঘুরে আসি ওমা, কিসে কি-
হঠাৎ শুনলাম ক্যামপাস বন্ধ ঠিকই
কিন্তু,
পরীক্ষা বন্ধে আর বাকি থাকবে না।
শুনে অব্যাক্ত হৃদয়ের গহীন থেকে
একগুচ্ছ কথামালা বের হবার
উপক্রমান্তে, পরম আদরনীয় বস্তুটির
ধমক খেয়ে দ্বিতীয় বস্তুটি
যেমন মিলে যাবার উপক্রম-
তেমনি আপন মনের স্নেহার্দ কথাগুচ্ছ
ভিতরে ফিরে গিয়ে অন্ধকার
গহ্বরে হারিয়ে গেল।
কথা বলবার তরে চিড়া চিবাইতে চিবাইতে
কবো মনের অব্যক্ত কথা
দশ গ্রামের দশ ছেলে জুটে
কইবে এ কোন প্রথা। অগত্যা
সকলে মিলবে আলাপের তরে
আস্তে আস্তে চিড়া করবে সাবাড়।
অনেকদিন পর কোথা থেকে এলে হে-
বুড়োর দিঘি, শোলাগাড়ী, ওপাড়ের
মাল্লী, সাদা বকের পদচিহ্ন বুঝি
ভুলেই গেলে! সরিষা ক্ষেতের -
শিশির বিন্দুর আন্দোলন কি আর......
ভাগ নিবে না?
ঢোলের পাড়ের মৃদু বাতাসে কি
আর গান শোনাবে না?
চলো হে-
মনের এমন সব শব্দ ছুটন্ত নক্ষত্রের মতন-
গহীনে হারায়ে গেলে জানালার
পাশে বসে পড়তে শুরু করলাম
প্রাগৈতিহাসিক!!
রচনাকালঃ ১০-০৩-১২
প্রকাশকাল: ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২০ (২০-০৫-২০১৩) সোমবার
সময়: ০৪:০২ মিনিট