কান্নার কোন নিয়ম হয়...
শুনিনি কখনো
কিন্তু, বুকের ভেতরে যে ভাঙ্গন হয়
তার আওয়াজ শুনছি প্রতিনিয়ত।
যেনো, কুল হারা কোন নদী, কেঁদে চলেছে, আর তার গন্তব্য ছুটছে তাকে পিছু ফেলে।

ফাগুন জানেনা কেন তার মৌসুম আগুন লাল হয়,
শুধু কৃষ্নচুঁড়াতে কেন সবার দৃষ্টি বিধে রয়?
ঐ আগুনের পোড়া স্মৃতিগুলো, যে কেন আমাকেই শুধু পোড়ায়। স্মৃতিরা তা জানেনা।যদি একবার জানতে পারতো, ফাগুন তার আগুন নেভানোর আহুতি দিত।

জীবনের সময় গুলো চলে গেলে বুঝি এমনি হয়। শতবার ডেকেও তাকে ফেরানো যায় না... কোন পিছু টানে।
তাইতো বুকের ধ্বনিতে সব সময় কেঁপে উঠে, ভেজ্ঞচি কাটার তীব্র শ্বব্দ আতঙ্কে।

পরিচিত মানচিত্রটা, হঠাত্... বিগড়ে গেল, মুছে যাচ্ছে অনেক চেনা মন, বদলে গেছে অনেক চেনা চোঁখ, অস্বস্থি লাগছে এই ভেবে, আকাশের দিকে চেয়ে এখন আর দিক মেলানো  যায় না।

নীলনয়না নিয়ে গেছে সব নীল। তাইতো, রাতের আকাশে এখন পরিস্বকার মেঘের ভেলা দেখা যায় না।

একটি কাঠ ঠোকরা ঠুকরিয়ে গেলো, নিচ্ছিদ্র গর্ত রেখে গেলো, কেউ যেনো আসতেও না পারে ভিতরে। আর কখনি আসলোনা কাঠ ঠোকরাটি...গর্তটাকে ভেঙ্গে দিতে।

শেষতক, রয়েই গেলাম দঃস্বপ্নের আহজারিতে। আর, কান্নাটা আমার রয়েই গেলো ধমনীর পাশ দিয়ে বসে থাকা গর্তটাতে ।।