আজ বাবার মৃত্যূবার্ষিকি
অনেক মধুর স্মৃতিগুলো আজ আবার নতুন করে মনে পড়ছে।
মনে পড়ছে দড়াজ কন্ঠের সেই ডাক
বিদায় বেলার, মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া করে দেয়া,
মা মারা যাবার পরের যন্ত্রনাকে ঢেকে দেয়া,
দূরে থাকতাম, তাই ফ্রিজে জমা হতো আমার প্রিয় খাবার গুলো।
মায়ের মতো করেই ছিলো সেই আবেদন।
প্রতিদিন আমাকে একটি ফোন কল, ছিলো বাবার নিত্য কাজের একটি। আজ আমার বাবা আমার কাছে নেই, কিন্তু, তার সেই কলটি আজো আমার আপেক্ষার প্রহরগুনে, জানি, আর কনোদিনই আসবেনা...জিজ্ঞেশ করতে, '' কি করো বাবা''?
বাবা...তোমার নামের আগে মরহুম লিখতে ভালো লাগেনা, তুমি হয়ত সবার কাছে মৃত, কিন্তু আমার এই বুকের ভিতরে তুমি আছো বাবা প-র-শে প-র-শে।
তোমার হাত ধরে যে পথ চ্লা আমার শুরু, তা আমি ঐ ভাবেই রেখেছি বাবা...তোমার হাটা পথে আমিও চলছি বাবা...কিছু পাওয়ার আশায় নয়, যদি, তোমার প্রতি আমার কনো ঋণ শোধ হয়।
হবে না হয়তো বাবা, কারণ, তাহলে সন্তানরা ভুলে যেতো বাবার কতো ঋণ সন্তান লালন পালনে হয়।
ক্ষমা করো বাবা...আমাদের সব ভুল...যে আব্দার মেটাতে না জানি তুমি করেছো কতো কি বিলীন।
হে আল্লাহ, বেহেস্তের শ্রেষ্ঠ আসনে ঠাঁই দাও আমার বাবাকে...যার পরিচিতিতে আজো আমি পরিচিতো।
তাই আমার সব ঊত্তম কাজের বিনিময়, তুমি আমার বাবকে দিও...যে ভাবে, বাবা আমার জন্য সবচেয়ে ভালো আর দামী আহার আর বাস-স্থানের ব্যাবস্থা করেছেন।
আমার স্ব-শ্রদ্ধ সালাম প্রতিদিনের মতো আজো তোমায় দিলাম।
দোয়া করি বাবা...রাব্বির হামহূমা কামা রাব্বা ইয়ানি ছোআ-গিরা।