নয়ন জলে লিখছি তোমায় আমার প্রিয় গ্রাম।
সবুজ বনের সবুজ পাতায় সবুজ রঙ্গের খাম।।
তোমায় ছেড়ে অনেক দিনে অনেক দুরের পথ।
ফিরবো তবে দেখবো তোমায় কিনতে হবে রথ।।

স্মৃতির দুয়ার খুলতে দেখি সুখের দুখের দিন।
খেলার সাথী হারিয়ে কোথায় রয়ে গেছে ঋণ।।
সকাল দুপুর সন্ধ্যা ‘বধী খেলার আয়োজন।
মান অভিমান নিতুই ছিল সাথী কয়েক জন।।

গাঁয়ের পথে ধুলির কণা ছিল তারা মিত।
পাতার বাঁশীর সুরবেসুরা হায়রে নানা গীত।।
বন বাদাড়ে ঘুরে ঘুরে জঙ্গলি পাকা ফল।
এই খেয়েছি আড্ডা আবার বনের ছায়া তল।।

গ্রামের ছোট পাঠশালাতে প্রথম যাওয়ার দিন।
মনে পড়ে অনেক কিছু আবছা আবার ক্ষীণ।।
শোর করে সব পড়ার কথা নামতা ধারাপাত।
দুষ্টামিতে বেত খেয়েছে নিতুই মোদের হাত।।

ছুটির পরে হল্লা করে পথের যত ধুল।
পায়ের সাথে এই মেরেছি ধবল মাথার চুল।।
ঘরে ফিরে মায়ের হাতে আবার খেতাম মার।
ধুলি মাটি মাখবো না তাই কাঁদছি বারংবার।।

তোমার পাশে নিরব চলা কাঁটাদাড়া বিল।
পানি তাহার স্বচ্ছ ছিল যেমন আকাশ নীল।।
তাহার মাঝে ডাউক সারস পাখীর ছিল বাস।
কানায় কানায় জল চলিবে হয়নি বারো মাস।

বিলের জলে সাঁতার কেটে শাপলা শালুক ফুল।
মালা গেঁথে গলায় পরা হয়নি কভু ভুল।।
গামছা দিয়ে মাছ ধরেছি সাথী ছেলের দল।
টেংরা পুঁটি চিংড়ি পবা হাটু খানিক জল।।

সকাল সাঁঝে খেল চলিত পাড়ে সোনার বিল।
পাল্লা দিয়ে এই ছুড়িতাম শক্ত মাটির ঢিল।।
কাহার আগে কারটা যাবে কাহার কতদুর।
সকল কিছু স্মৃতির পাতায় বাজে করুন সুর।।

স্মৃতির পাতায় অনেক কথা তোমার সোনার গাঁও।
সুখ ও দুখের কথার মালা বোঝায় ঘাটে নাও।।
তোমার তরে অনেক দোয়া আল্লাহ দয়াময়।
রাখে তোমায় সবুজ শ্যামল কভু না হয় ক্ষয়।।