ছায়ায় ঘেরা সেই মেঠো পথ
কিশোর বেলার দিন।
কোথার থেকে কোথায় চলা
আরাম বিরাম হীন।।
লম্বা গাছে মৌমাছিদের
বাসায় মেরে ধিল।
দৌড়ে ওপার এক নিমিষে
গায়ের মাঝে বিল।।
নতুন নতুন গান বেঁধেছি
তাল পাতাতে সুর।
পবন সনে মেঠো পথে
যেতো অনেক দুর।।
রঙ কাগজে রঙ্গের ঘুড়ী
সুতায় বেঁধে রোজ।
দৌড়ে যেতাম বিলের পাড়ে
বাতাস পাওয়ার খোঁজ।।
রোজ বিহানে ঘুম ভেঙ্গেছে
থাকতে আঁধার ঘোর।
বাঁশ বাগানে বিহগ কুলে
চলতো কূজন শোর।।
দুর্বা ঘাসে শিশির কণা
মুক্তা চমক তার।
মুল্য বিনা কে জানি কে
বানিয়ে যেতো হার।।
বিলের জলে পদ্ম শালুক
হাজার ফুলে ফুল।
তাল খেজুরের গাছের সারি
তাহার দুটি কুল।।
ছাকনা দিয়ে মাছ ধরেছি
গাঁয়ের সাথী দল।
ফাগুন শেষে বিলে তখন
হাটুর সমান জল।।
সকাল থেকে দুপুর যেতো
বিলের জলে স্নান।
দুপুর থেকে সন্ধ্যা হতো
দিপ্ত সূরজ ম্লান।।
খেলার সাথী গাঁয়ের ছেলে
কোথায় কাহার ঘর।
হৃদয় মাঝে তাদের নিবাশ
প্রেমে অনন্তর।।
ভাবতে গেলে মনের মাঝে
অনেক কথার ভিড়।
কোনটাতে খুশি জোয়ার
কোনটাতে নীড়।।
হারিয়ে গেছে অনেক দুরে
কিশোর বেলার দিন।
ওসব কথা স্মৃতি এখন
খেলার সাথী হীন।।