ছয়টি ঋতু লইয়া বছর আমার সোনার দেশ।
ভিন্ন তাদের গুন গরিমা ভিন্ন তাদের বেশ।।
ঠাণ্ডা গরম বর্ষা খরা এমনি চলে দিন।
ভরা নদী গর্জে চলে আবার দেখি ক্ষীণ।।
গৃষ্মকালে বহ্নি হাওয়া পূব গগনে ধায়।
কালির ঘাটা মেঘের মেলা দেখেছো নিশ্চয়।।
কাল বৈশাখির আগমনে ভয়ে কাঁপে বুক।
ভেঙ্গে চলে ঘর দুয়ারী মানব পাখির দুখ।।
অঝর ধারায় বর্ষা নামে মাঠে ঘাটে জল।
তৃষ্ণা মিটায় বন প্রকৃতি দগ্ধ ধরার তল।।
ঘুমিয়ে থাকা গাছের শিশু চোখ খুলিতে বন।
সবুজ পাতায় দোল দিয়ে যায় সিক্ত সমীরণ।।
খণ্ড ধবল মেঘর সফর শরত বেলার দিন।
কোথায় যাবে নাই ঠিকানা তাই সে উদাসিন।।
কাশেরবনে ধবধবে ফুল শিশির ফোঁটা জল।
চাঁদনী রাতে জোসনা কিরণ মুক্তা ঝলোমল।।
হেমন্ততে হিমেল হাওয়া কুয়াশ ঘন দূর।
নতুন ফসল আসবে ঘরে নবান্ন তাই সুর।।
কৃষাণ তারা ব্যাস্ত সবাই ফসল কাটার ধুম।
কৃষাণ বধূ রাত্রি জাগে কোথায় তাদের ঘুম।।
শিতের দিনে শুষ্ক হাওয়া পাতার বিদায় দিন।
আসবে আবার নতুন পাতা তারা বাজায় বীণ।।
ঘরে ঘরে পিঠা পুলি উৎসবে সব গ্রাম।
রসের পিঠা মদন পিঠা কত তাদের নাম।।
সবার শেষে রঙ্গের বাহার আসে ঋতুর রাজ।
ফুল কুমারির ঘুম ভেঙ্গেছে বড়ই লাজুক লাজ।।
সবখানেতে ফুলের মেলা কোকিল শুনায় গান।
বাংলা আমার রুপকুমারি আমার প্রানের প্রান।।