একটা ক্ষমতার হলিখেলা থামিয়ে দিতে
যখন ছাত্র, যুবা, বৃদ্ধ কিংবা শিশু, সেনার
জলপাই রঙের ট্যাঙ্কের সামনে দাঁড়িয়ে গেল,
বুক পেতে আলিঙ্গন করল শত সহস্র বুলেট,
তখন তুমি হয়তো কোনো সুরক্ষিত প্রকোষ্ঠে
এসির বাতাস খেতে খেতে তার ভিডিও দেখতে,
সেই রগরগে দৃশ্যে তুমি হয়তো উত্তেজিত হতে,
শোকাবিভূত হৃদয়ে তোমার চোখে জল আসত।
সেই জল মুছে একটা বিপ্লবী জোশ মুখে নিয়ে
নেমেও যেতে চাইতে রক্তাক্ত সেই রাজপথে!
কিন্তু সম্বিৎ ফিরতেই দেখতে পেতে তোমার
নামা নামা করেও একবারও নামা হয়ে ওঠেনি,
হয়তো মায়ের মুখটা তৎক্ষণাৎ ভেসে উঠেছিল,
কিংবা ছোট বোনটার আদরমাখা কণ্ঠের ফোন,
'ভাইয়া তুমি কিন্তু ভুলেও যাবে না ঐ মিছিলে,
চার বছরের শিশুও গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যাচ্ছে,
তুমি হারিয়ে গেলে বায়না ধরব কার কাছে, বলো!'
অথবা তোমার প্রিয়তমার ঐ ঐন্দ্রজালিক চাহনি!
এদের কেউ তোমাকে সেদিন বিপ্লবী হতে দেয়নি।
আজ তোমার বড় আফসোস হয়, আর হবেই তো!
এমন সৌভাগ্যের চাওয়া কত জীবনেরই তো ব্রত!
আজ কত বিপ্লবী প্রেমিকার বাহুডোরে উল্লাস করে
আর না প্রেমিক, না বিপ্লবী বিভ্রান্তরা হতাশায় মরে।
প্রেমিকার ঐ মায়ার মুখ তোমায় বিপ্লবী হতে দেয়নি
আবার বিজয়ের ক্ষণে সে তোমায় প্রেমিকও মানেনি!