ছোট বেলায় মাছ ধরেছি কত ছলে বলে!
টাকি,পুঁটি ধরেছি কত কারেন্ট জালের কলে।
ছিপের টোপে পড়েছে কত ছোট ছোট পুঁটি
সেই আনন্দে তার গলে খেলেছি লুটোপুটি।
কতেক টাকার বর্শা কিনে সোলার সাথে বেঁধে
কেঁচো গেঁথে ভাসিয়ে দিয়েছি ধানক্ষেতের মধ্যে।
সন্ধ্যা বেলার আবছা আলোয় হাঁটু সমান পানি
কাটতে কাটতে কেটে গেছে অনেক সময় জানি।
বিলে-ঝিলে, গাঙ-বাওড়ে ফাঁদ পেতেছি কত
বর্শা,ছিপে, কারেন্ট জালে পড়েছে শত শত!
টোপের আগায় বর্শা গিলে মাছ করে লাফঝাঁপ
তাই না দেখে হৃদয়ে আমার কতই না উল্লাফ!
শুকনো ডাঙায় কম খেলেছি ফাঁদে ফেলার খেলা?
গাছের ডালের পাখির নীড়ে ফাঁদ পেতেছি মেলা।
দুপুর বেলার রোদ -গরমে ঝোপের কোলে ঘেঁষে
ঘুমন্ত ঘুঘুর পা লটকেছি নাইলন সুতোয় ঠেসে!
এয়ারগানের সুক্ষ গোলায় পড়েছে কত বক!
আহত পাখির রুধির ধারায় ভেসেছি শেষতক।
পানকৌড়ির কাঁচা মাংসে বিঁধেছি শক্ত গুলি
বেলুনের মতো উড়িয়েছি, ডাহুক পাখির খুলি!
জীবন তখন খেলা ছিল, তাই খেলেছি খেলা
বর্শা দিয়ে জীবন নিব ,এইতো ভাবের মেলা!
জীবন এখন আমায় গাঁথল বর্শার অগ্রভাগে
টোপ খেয়ে লাপাচ্ছি বাঁচব কি আসছে মাঘে?