আজ দু'জনের যাত্রা দু'টি ভিন্ন
গন্তব্যে, যাত্রা যখন একই বিন্দু
হতে শুরু হলো তখন সেখানে
একটি মহাকাব্যিক ইতিহাস তৈরির
সূচনা হলো; যাত্রা যখন একই কেন্দ্র
হতে শুরু হয় তখন অভিযাত্রিকগণ
পৃথিবীর যে প্রান্তেই ছড়িয়ে পড়ুক না
কেন তাদের উপর একটি কেন্দ্রমুখী
বল অবিরত কাজ করে;
হালের মহাপরাক্রমশালী মার্কিন সৈন্যই
বলি অথবা অতীতের রোমান,পারস্য কিংবা
তুর্কি সেনাদের কথাই বলি না কেন, এভাবে
যেখানে যাদের কথাই বলি সবার অভিযানকেই
এই বল প্রভাবিত করেছে। তাহলে বলো, আমরা
কেন তা দ্বারা প্রভাবিত হবো না? আমরা একটা
পৌরাণিক অভিযাত্রায় আছি যা শুরু হয়েছে একই
বিন্দু থেকে,একই তেজ থেকে, একই প্রতিজ্ঞা থেকে।
জানালার পাশে হাতটা বিছিয়ে দিয়ে তুমি যখন এক
একটি দেবদারু গাছ, কংক্রিটের বড় বড় দালান, দিগন্ত
বিস্তৃত শস্যখেত, সতত বয়ে চলা স্বচ্ছ পানির স্রোতস্বিনী,
অথবা কোনো ডানা মেলা উড়ন্ত পাখির দলকে ফেলে
রেখে যাচ্ছো, তখন তুমি হয়তো ভাবছো, ওদের মতো করে
আমাকেও একটু একটু করে ফেলে রেখে যাচ্ছো; তোমার
কোমল হৃদয়টি তখন হু হু করে কেঁদে উঠছে হারানোর ভয়ে।
মহাকালের ক্লান্তিকর এই অভিযাত্রায় হয়তো আমরা ফেলে
যায় কোনো মূল্যবান বস্তু, এক সাগর অশ্রু, প্রিয়তম(।)র
নশ্বর দেহ কিংবা প্রার্থণা করার অভ্রান্ত মহাগ্রন্থ। কিন্তু যা
কিছু অবস্তুগত, যা কিছু বিমূর্ত, যা কিছু আবেগীয়, তা
এক নিমিষের জন্যও নিভে যায় না; জ্বলতে থাকে ততক্ষণ যতক্ষণ এই নশ্বর দেহঘড়িতে প্রাণ থাকে, কম্পন থাকে, থাকে মহাকাব্যিক অভিযাত্রা জয় করার অব্যর্থ মেজাজ।
তুমি আমার আবেগীয় অস্তিত্ব; তুমি সাথে থাকবেই।