সে আমায় মেহেদী মাখা হাত দেখিয়ে কেঁদেছে ;
আমি এখন অন্য কারো এটুকু বলে কেঁদেছে।
আমি জিজ্ঞাসা করলাম কে সেই খোস নসীব ?
সে মেহেদীতে লিখা নাম খানি দেখিয়ে কেঁদেছে।
সারা জীবনের জন্য বেদনার চিন্তা এসেছিলো তার ;
সেজন্য প্রিয়তমা আমার বুকে মুখ লুকিয়ে কেঁদেছে।
এ দুনিয়াতে না হলেও ; অবশ্যই জান্নাতে মিলবো ;
এই প্রত্যাশা নিয়ে হৃদয়ে হৃদয় মিলিয়ে কেঁদেছে।
আমার চেয়ে অধিক বিরহের ভয় ছিলো তার ;
তাই সে আমায় বাহুডোরে আবদ্ধ করে কেঁদেছে।
বেকসুর আমি প্রিয় ; কুদরতের ফয়সালা এটা ;
জড়িয়ে আমায় প্রিয়তমা ; এটা বলেই কেঁদেছে।
আমার কাছ থেকে ফেরত যাওয়ার সময় সে কেঁদেছে ;
কেনো জানি সে আপনদের ভীড়ে পিছু ফিরে কেঁদেছে।
আমার মাঝে বেদনার অসীম পাহাড় ভেঙে পরলো তখন ;
যখন আমারই সামনে আমার লেখা পত্র জ্বালিয়ে কেঁদেছে।
আমার সব ঘৃণা, সব অভিমান ভালবাসায় বদলে গেলো এক মুহূর্তে ;
প্রেয়সী যদি ছলনাময়ীই হয় ; তবে আমায় সে কেনো কাঁদিয়েও কেঁদেছে।
তবু কিভাবে তার ভালবাসায় সন্দেহ করি আমি ?
ভরা মজলিশে সে আমায় বুকেতে জড়িয়ে কেঁদেছে ।
সব অভিযোগ তো আমার এক মুহূর্তে বদলে গেলো ;
কাজল মাখানো চোখে যখন সে অশ্রু সাঁজিয়ে কেঁদেছে।
সীমাহীন কষ্টের ভাড়ে আমার বুক ফেটে না যায় ;
তাই তো সে হাসতে হাসতে ; আমায় হাসিয়ে কেঁদেছে।
হৃদয় যেনো না ভাঙে আমার ; শেষ বিদায় লগ্নের আসরে ;
আমি কেঁদেছি;সেও কেঁদেছে;এই চোখে চোখ রেখে কেঁদেছে।
একদা সে বলতো বাঁচতে পারবে না আমায় ছাড়া ;
আর আজ প্রিয়তমা এই কথা মনে করে কেঁদেছে।
যখন আমার এই দু' চোখ বেয়ে অশ্রুর লোনাধরা ;
তখন সে আমার তালুতে তার অশ্রু সাঁজিয়ে কেঁদেছে।
যখন আমি দেখতাম তাকে ; শুধু হাসতে দেখতাম ;
আজ প্রিয়তমা সকল খুশী সমাহিত করে কেঁদেছে।
মন চাচ্ছিলো তাকে প্রাণ ভরে দেখে নেই শেষবার ;
সে আমার এই আখি দ্বয়ের তৃষ্ণা মিটিয়ে কেঁদেছে।
যখন সে বুঝেছে প্রেমোদগম জীবনে আমার হবে না ;
হলুদ রজনীর সন্ধ্যায় সে তো দরজা লাগিয়ে কেঁদেছে।
সে আমার বুকের পশমে মুখ বুজে সুখ খুঁজতো ;
কাল সে আরেক জনের বুকে মুখ লুকিয়ে কেঁদেছে।