এক জনঅরণ্য কংক্রিটের রেখা ধরে মেয়েটি যাচ্ছিলো,
সমুদ্র দেখবে বলে ; সমুদ্রের ভেজা বালিতে হাঁটবে বলে।
নেশাকাতুর দৃষ্টি হণ্য হয়ে কোনো পুরুষকে খুঁজছিলো,
ভালবাসবে বলে ; কারো বুকের পশমে মুখ লুকাবে বলে।
এক পুরুষ মিলেছিলো মাঝ পথে ; মাঝ রাতে সোডিয়াম আলোতে,
মেয়েটি রেখছিলো হাত তার হাতে তারপর হাটবে ভেজা বালুতে।
তারপর,,,
কোন বদ্ধ রুমে আবদ্ধ করে ; ভালবাসার ব্রেসিয়ার খুলে,
কিছু অসাঢ় অনুভূতি আর দেহতত্ত্বের খেলা।
মেয়েটির মধ্য প্রদেশের বিস্তার জুড়ে অন্ধ বিশ্বাসের ফল মেলে,
প্রেমের মানে অবুঝ সমাজে রুপ তত্ত্বের মেলা।
তারপর...?
কেটেছে বহু বছর, বহু কুসুম মাখা প্রভাত।
হেঁটেছে বহু শহর, দেখেছে জোছনা মাখা রাত।
মনের ভেতর তখনো রক্তক্ষরণ ; কাঁচা তখনো সেই ক্ষত,
ফের এক প্রেমিক চাইলো প্রেম ;শুধালো মনের দাম কতো ?
এ মন আর বিকোবে না মহাশয় ; শুধু জমে আছে বিদ্বেষ।
পুরুষে এখন যে বড্ড ভয় হয় ; তাই প্রেমিকের প্রবেশ নিষেধ।