অথচ তোমাকে দেখলে আমার বয়সটা কম মনে হয়
আমার আটাশ তুমি ষোড়শী
দিনদিন কেমন দেহপল্লব তোমার শিশির-স্নাত হয়
আরও পরিপুষ্ট হয় লাউয়ের ডগা,
কামুক জলে শুষ্ক ঠোঁট আমার স্নান সেরে প্রস্তুত।
তুমি ষোড়শী, আর শীতের রবিশস্য
দুটোতেই চরম লোভ আমার --- তৃপ্তির ঢেঁকুর উঠে।
তুমি আর সকালের রসময় যৌবন ছাড়া
সমস্তদিন আর কিছুই চোখে ভাসে না ---
আমার গড় বয়স হয়ে গেছে ( মা বলেন, আরও কিছু বেশি)।
কলকব্জায় মরিচার স্তর; হলুদ-বরণ
এ-বেলা আর সে-সব যন্ত্রপাতি ঘষে ঘষে
রঙ লাগাতে যাবো কেন? কী লাভ মুখোশ পড়ে!
তারপরেও, লাউয়ের রসময় ডগায়, ছাতার মতো পল্লবে
ক্ষুধা বাড়ে, হাত বাড়াই --- অজান্তে পরিপূর্ণ যৌবন পাই,
আটাশের পর, এই গড় বয়সে
অনুভূতি টের পাই, নির্দিষ্ট জায়গায় টান লাগে
ষোড়শী, তুমি যখন এলোকেশে উছল যৌবন নিয়ে পাশে দাঁড়াও
তারপর আর কিছু মনে থাকে না,
আমি এটুকু বুঝতে পারি --- আমি আটাশ নই
তোমার গন্ধ অনুযায়ী গন্ধ বোঝার মতো স্বয়ংসম্পূর্ণ যুবক আমি।
আমি জানি গায়ে-গতরে আটাশ আমি
তোমাকে দেখলে তা আর মনেই হয় না -------