বাসার লাগোয়া গেটে, সুগন্ধের মেলা পেলাম হেটে,
এমন বাহারি আয়োজন আকাশে তারকা ফোটার রাত্রিরে!
তাও কয়েকবাড়ী পর পর নিরিবিলি মিলে,
হাস্নাহেনার মোহনী সুগন্ধে আহা মন নাচে আনন্দে,
দুজনার পথ চলা প্রবাহের মাছুদীঘি
মুহূর্তে খোঁজা খুঁজি, এ বাড়ী ও বাড়ী উঁকি ঝুঁকি
৪০ এর ৬ দেখি, জনা তিনেক লোকের সাথে,
কথোপকথন সেরে, খানিক পরে বুড়ী খালার আগমনে,
হল দ্যাখা, তাকে নিয়ে বাসাখানি ফাঁকা,
সাথের ছেলেটি ফোন নাম্বার দিল,
বুড়ী খালা নাম্বারটি দিল না!
এ বয়সে ডিসট্রাব হয় বুঝি?
আহা হাস্নাহেনার সুগন্ধে দুজন নাচে আনন্দে,
একজন রেজা শাহ্, অন্যজন মাসুক মেহেদী,
এবার তোমরা দুজন কিইবা কইবা দ্যাখী,
ফুলের সুবাসে বুকভরা নিঃশ্বাসে মন নাচে হেলে দুলে,
বিদায়ের ক্ষনে, যেতে হবে আলাদা হয়ে তাই?
একজনা ডাইনে তো আরেকজনা বায়ে চলে,
সুরমা নদের পাশ ঘেঁষে, আঁকাবাঁকা রাস্তা গিয়েছে ভেসে,
সুন্দরী কাজীরবাজার সেতু রয়ে যায় শুধু!
অনেক দিনের পরে হাসি আর আনন্দ দুই বন্ধু,
এক হয়ে হরহামেশাই ঘুরা ঘুরি করে পথচলে,
এরূপ মিল ছিল যৌবনের প্রথম প্রহরে কোন এককালে!
আবার পুনঃবার, ফুলের ভ্যালায়, মাতাল সুবাস!
কস্মিন কালে মিলবে হয়তোবা সৌভাগ্যে মিলিয়ে দিলে!
~~> রেজাউল আবেদীন। ১৩/১২/১৬ ইং , সিলেট, মঙ্গলবার।