আমি আগের থেকে একটু বেশি চুপ থাকি,
হয়তো হিমালয়ের নীচে চাপা পড়া পলির মতো-
নয়তো বা খাল পারের সেই শিমুল গাছটির মতো-
যেটি খরস্রোতা বন্যাকে উপেক্ষা করে আজও -
নীরব যন্ত্রনা সহ্য করে আমাদেরকে বাঁচিয়ে রেখেছে।
আমি আগের থেকে একটু কম কথা বলি,
শুধু চেয়ে থাকি মানুষের মুখের দিকে।
আর রঙীন সেই চোখের দিকে।
মিথ্যে গুলো সত্য হয়ে যাওয়ার দিকে।
সময়ের সাথে সাথে মিথ্যে গুলো কর্পূরের মতো-
হঠাৎ উবে যায় ।
আমি এখন আগের থেকে একটু কম কাঁদি,
হয়তো শুকিয়ে যাওয়া স্বরসতী নদীর মতো,
নয়তো বা মিশরের সাহারার শুষ্ক বালির মতো।
আকাশে মেঘ উঠলেও যেমন তারা বৃষ্টির-
শেষ আশাটুকুও রাখেনা,ঠিক তেমনি।
আমি আগের থেকে একটু কম হাসি ,
ঠোঁটের গোড়ায় লেগে থাকা হাসি খানা-
দাঁত অবধি পৌঁচ্ছাতেই তার অপমৃত্যু ঘটে ।
ঠিক যেন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার-
অভাবে মারা হাওয়া রোগীটির মতো।
আমি এখন ছবি আঁকি,মরা মানুষের!
কবর থেকে তুলে আনি মৃতদেহ;
দেখি সবার মস্তিষ্কে বেশকিছু সাধারণ কিছু ক্ষত রয়েছে-
অবহেলা,অসম্মান,অনুশোচনা আর বেদনার মতো-
এরকমই আরও কিছু ক্ষত।
যেগুলো তখন হয়তো সরকারি পোস্টমর্টেমে ধরা পড়েনি!
হয়তো বা কোনো আর্থিক চক্রান্ত ছিল,
হয়তোও হতেও পারে।
মানুষ হয়তো এখন খাবারের থেকে রক্ত খাই বেশি!!
তাই হয়তো ব্লাড ব্যাংক রক্তের এত অভাব।
পৃথিবীর সমস্ত জলবিন্দু থেকে অক্সিজেনকে-
বাদ দিলে হয়তো মানুষ এতদিনে সমুদ্রেরও-
আগুন লাগিয়ে দিত।।