ওগো ও মোর প্রেয়সী-
শুনতে কি পাও করুণ কান্না হৃদোল্লাসি!
চোখের কাজল,চোখে জলে যায় মুছিয়া,
সোহাগরতন,শুষ্কপতন অনুতাপ লইয়া!
ফাগুনের গোধূলি ফাগে হয় অগ্নি বর্ষন,
স্তম্ভিত,মরুতটে প্রেমাদির হয় কি কর্ষন?
জীবন নদ পূর্ণ হইল বেদনার বালু-চরে,
অনুভাবের অনুভূতি হারায় অবি-চারে।
সেজে নববধূ,ঠাঁই বসে,ব্যাথিত্ দিনযামী,
আঁখি ঘোর হয়ে আসে ভাসিলাম আমি।।
* * *
ওগো ও মোর মনোহরা-
নিঠুর বিবাগী কেন প্রফুল্লোসে আত্মহারা?
মাটির মানুষ হয়ে মন চাহে আসমানী চাঁদ,
জোস্না রাতে,প্রণয়ীর সাথে মিলন বিষাদ!!
আসমান হতে হাতছানি দাও অতিসন্তর্পনে-
মিলনের সাধ মিটায় আমি আমারই গানে!
পূর্ণ করিলে প্রেমে পাত্র বিরহের দাবানলে,
বিরহ সাগরে ব্যাথিত্ আমি অনুতাপনলে।
বিরহ তরী ভাসাই আমি শ্রী যমুনার জলে-
আঁধার রাতে তরী ডুবে যায় প্রলয়ের কালে।।
* * *
ওগো ও মোর পরশমনি-
শোণিত নয়নে ঝরালে কেন চোখের পানি?
সৌদামিনী হয়ে অমানিশা ঘোর দিয়ে গেলে,
তণু মোর জীর্ণ হয়ে যায় যমুনার লোনাজলে।
দুআঁখি হয়ে আসে ঘোর,বেদনার করালগ্ৰাসে,
জ্বলি—বিরহের আগুনে আমি তবুও সে হাসে ।
বিঁধিয়ে পাষানী শুল আছ কোন সে মহানন্দে?
হৃদপাঁজরে শীনায় শীনায় ঝরে অনল কেঁদে কেঁদে ।
কামিনী প্রেমের পরশ জাগালে কেন যদি যাবে চলে?
বিরহের সাগরে ডুবিয়ে আমায় যাচ্ছ কেন গো ফেলে ?
* * *
ওগো ও মোর নামাজ-
তোর কারণে কালঙ্কিনী,একঘরে করিল সমাজ
ফিরে এসো এসে মুছিয়ে যাও গো চোখের পানি,
নয়ন মিলিয়া দেখিতে যেন পাই তব সুরাতখানি,
ঝুমুর ঝুমুর বাজাও কেন পায়ের নূপুর,এ মরুতটে,
সজোরে বিঁধে তব হু-তাতন প্রনয়ের ফুল ফোটে।
সাঁঝের বাতি নিভিয়ে গেল তপ্ত বিরহের সমীরণে-
তবে ঝংকার তুলো হে কেন তোমার নূপুরের অনুরণনে!
এই রাখিনু গো মোর আছে যত প্রেম ভালোবাসা,
বিরহের হেমলক বিষে দগ্ধ কর মোর আছে যত আশা।