পানির ’পরে ছবি আঁকি মুছে যাবার ভয়ে,
শিনা ছেদি লহু নিঙড়ে উল্লাসেতে পিয়ে।।
চোখের নেশা বোঝে কোনো শরীরের ভাষা?
চোখের পাতায় ভাসে শুধু রক্তজবা আশা!!
যৌবনের প্রেম,বৃদ্ধে এসে জন্ম দেয় মায়ার,
ভবলীলার শেষ খেয়াতে ওপারেতে যাবার।।
বাস্তব যেন স্বপ্নের মতো হাতছানি দেয় শেষে,
রূপসীর সেই রূপ্ দেখে,তাকেই ভালোবেসে।।
কত পাওয়া না পাওয়া সীমাহীন আত্মাহুতি-
চোখের দৃষ্টিক্রমে ক্ষীণ হয়ে আসে কবরস্থতি।।
কবরের মাটি টানে তখন যেন প্রেয়সীর সুরে-
বিরহযাতনা শেষ হয় সব সেই সে অচিনপুরে।
যত হিংসা দ্বন্দ্ব বালির মতো মিশে সেই বেলা,
নিস্তব্ধ উষ্ণ হীমেল আবহে সাঙ্গ হয় ভব খেলা।।
আবহমান বাস্তব সে মাটির গন্ধে স্বপ্ন ভঙ্গ করে-
সব প্রেম ভালোবাসা মুছে দুফোঁটা অশ্রুর দরে।।
মৃত্যুতে সব আঘাত বেদনা ফুলের মত ঝরে পড়ে,
সহানুভূতি বিবেক মিটে যায় মুছে যায় অনাদরে।।
তুমিতো সত্য,সে সত্য বাতাসে মিশে সুগন্ধি ছড়ায়,
আজরাইলের চিঠি দুয়ারে এসে শেষ কড়া নাড়াই!!
মৃত্যুকালে চোখের মায়া সারা মুখে প্রকাশিত রবে,
মায়ার বন্ধন ছিন্ন করে সবাই একদিন যেতে হবে।।