স্রষ্টা নিজে প্রকাশিত স্বয়ং এই ধরাপরে,
যেরূপে চন্দ্র সূর্যের কিরণ রয় একাধারে।।
প্রকাশ যা কিছু ওরে ভাই এই বিশ্ব মাঝে,
আকারে সাকার হয়ে সে বহুরূপী সাজে।।
একদা এক অন্ধ কহে,অন্য অন্ধের সনে:
চন্দ্রিমার কীবা আকার বল বন্ধু এইক্ষণে।।
চতুর অন্ধ কহে,চন্দ্রিমাতো ভাই নিরাকার-
দেখা,চেনা যায় না রে শুধু দৃপ্তি রূপকার।।
অন্ধকে জ্ঞানি ভেবে কত অন্ধ আসে যায়,
বস্তুভিন্ন এ কিরণ কোথা থেকে আসে তাই??
আজীবন জহুরী তুমি ভাই করলে এই ভবে,
রত্নের কিরণ দেখল্ শুধু চিনল না তা সবে।।
এহেন ভূমন্ডলে মানুষ ভিন্ন শ্রেষ্ট কিছু নাই,
পড়ে দেখ ভাই শাস্ত্র কেতাব স্পষ্ট তা কয়।।
দেখে শুনে মানুষ ধর ন’লে ঠগে যাবে সেথা
চলরে সেই শহরে মানুষে মানুষ মিশে যেথা।।
# লেখনীর মূলভাব সন্ত রামপাল জী মহারাজের "জ্ঞান গঙ্গা" বই থেকে নেওয়া হয়েছে।।