আমি এক ক্ষুদ্র গ্ৰহাণু,থাকতে চাই তব আকাশে,
উল্কাপিন্ডসম ফেলে দিওনা গো প্রভু হা-হুতাসে!
তব গুণ বর্ণিতে প্রভু,জলধি মসী পড়ে যাবে কম,
প্রসংশিত,অতি-প্রসংশিত নিত্য নবীন তব নাম!
আকারে প্রেমিক যিনি,নিরাকারে তিনিই গো খোদা,
কে বান্দা,কোথায় খোদা,কেই বা হয় গো পুশিদা?
তুমি হে প্রভু বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে হও আদি-অন্ত মহাসিন্ধু,
আমি ক্ষুদ্র অতি নগণ্য গো,তাঁর একটি কণারবিন্দু।
ধ্বংস হতে সৃষ্টি গো তুমি, সৃষ্টি হতে হও গো ধ্বংস,
মহা-প্রলয়ের অন্তিম দিবসে,কোথা রবে তব অংশ?
জ্ঞানের বড়ো অভাব প্রভু,লোক দেখানো পড়ি শাস্ত্র,
খোদার তত্ত্ব ভুলে গিয়ে শুধুই ধরি গো ধারালো অস্ত্র!
প্রকৃতির এই রূপ জাগরন দেখ গো অতি সুক্ষ্ম-দৃষ্টিতে,
বন্য তরুলতা,কীট হতে দৈত্য জীব রহেতাঁরই চিন্তাতে!!
আহমাদ থেকে মিমের পর্দা বাদ দাও রে কাফের মন!
আহাদ হতে হয় আহমাদ যিনিই ত্রি-জগতের নিরঞ্জন!
দেখো ভেদ তত্ত্বে,নিরাকারে ভাই যে হয় গো আহমাদ-
বস্তুত সহচর্যে দেখো রে ভাই সাকারে তিনিই মহাম্মদ!
বোঝা নামিয়ে কবে তোমায় প্রভু ধরবো আপন করে-
বস্তু কেন্দ্রিক বাসনা শুধু নাই মহব্বত পাপিষ্ঠ অন্তরে!
হুঁসের ঘরে তালাস করে কবে চিনবো প্রভু নিজকে?
জাহান্নামের আগুন জ্বলি সদাই না চিনে আপনকে!
খালাকা আদামা আলা সুরাতেহি পাই কোরআনে,
নিজ রূপে আদমকে গড়েছি ,মন চাহ আদম পানে!!
অন্ধ হয়েও আয়না দেখি গো প্রভু আদমকে না চিনে,
সেরাতুল মুস্তাকিম কোথায় পাবো প্রভু বল এই হীনে!
মনে যে বড়ো লাগে ভয় প্রভু সেই দিনের কথা ভেবে-
মুনকির ও নাকির হিসাবের তরে প্রভু উঠবে গো যবে!