স্বাধীনতা তুমি এসেছিলে,
ত্রিশ লাখের কতশত গ্যালন রক্ত পেরিয়ে?
স্বাধীনতা তুমি এসেছিলে,
কতশত মায়ের বিকট চিৎকারের আহাজারি পেরিয়ে?
স্বাধীনতা তুমি এসেছিলে,
কতশত নববধূর গায়ে সাদা কাপড় পড়িয়ে?
তুমিই কি সেই স্বাধীনতা?
যে ছিনিয়ে নেয়; ন্যায় বাক্যটি বলায়-
মায়ের কোল থেকে ছেলে!
বোনের আদর থেকে ভাই!
ভাইয়ের আদর থেকে বোন!
যে উন্মাদের মতো উন্মুক্ত করে পথেঘাটে-
আমার বোনের রহস্যময় যোনীদার?
ঘুম,খুন,যোনীর রক্তে আবার রাঙালো যে-
তুমিই কি সেই স্বাধীনতা?
তুমিই কি সেই স্বাধীনতা?
যাকে পেতে কতশত হাজার গ্রেনেড,বুলেটের পর;
এই জনপদ-আমার ভাইয়েরা করেছিলো নিরাপদ!
যতশত হায়নার কবল হতে।
তোমার তো এমনটি হওয়ার কথা ছিলো না!
বিশ কিংবা একাত্তরের তফাৎটুকু কত?
স্বাধীনতা তুমি স্বাধীনতা দিয়েছো!
মা কিংবা বোনকে নয়,
শিশু কিংবা পিতাকে নয়,
নববধূ কিংবা স্বামীকে নয়,
ভাই কিংবা জাগরণ কে নয়!
স্বাধীনতা তুমি স্বাধীনতা দিয়েছো,
নরপিশাচ ওই হায়নাদের!
রাতের আঁধারে পথে পথে-
আমার বোনের পিছু নেওয়া শুয়োরদের!
ব্লেড দিয়ে যোনীদার কাটা ওই রক্ত পিশাচদের!
স্বাধীনতা তুমি স্বাধীনতা দিয়েছো তাদের!
জাগতিক দুয়ারে তাদের-
গালি দেয়ার মতো কোন নাম নেই!
তারা মহাজাগতিক অমানুষ!
২০ আশ্বিন ১৪২৭ || ০৫ অক্টোবর ২০২০ || সোমবার
নারায়নগঞ্জ