এমন রাত্রির আগে, আমি দেখেছি উজ্জ্বল আকাশ
যেখানে দিনভর পাখির দেহে রোদ ঢাকা পড়ে।
এমন রাত্রির আগে, আমি দেখেছি হলুদ সুপারির থোকা
অবেলায় চুপচাপ পড়ে রয় সারি সারি বাগানের ঝোপে।
এমন রাত্রির আগে আমি দেখেছি আরও কত কি!
এ আলো ছায়া সমুদ্র সমতলে- যতবার ভীষণ জ্বর
আমাকে কাবু করে, আমি দেখি অস্পষ্ট ভ্রম-ধুম্র ঘোর।
আমাকে দেখেছি আমি- কি অসহায় একাকী বনের মধ্যে
একাকী ঘোর সভ্যতা, সংস্কৃতি সবই আছে; মুখোশের মতো।
লাল জবুথুবু বিকেলে আমাদের মাঠে যে আলো ছায়া-
নেমে গিয়ে, আঁধার ডেকে আনতো তারও অন্ধকারে
দেখেছি জোনাকির মতো জীবনের গলিপথ ঘুরে ফিরে একই।
একই পথ, বারবার স্বপ্নের মতো ডেকেছে আমায়-
সে পথের প্রতিটা ধুলি কণা, কংকর, হলুদ দূর্বা ফুল
সবই চেনা, তবুও গিয়েছি আমাকে যে পথ চায়নি কখনো!
কখনো গিয়েছি ছুটে, কখনো খুব সন্তর্পণে
আমার কানে কানে এসে বিকালের ঘর-ফেরা পাখির মতো
কিচিরমিচির সুরে কে যেনো বলতো-
পথের পথিক যেনো ভুলে না পথ! যে নাবিক-
সমুদ্রে হারায়, সে নাবিক ফিরে আসে নতুন সূর্য হয়ে।
কে যেনো বলতো- এ পথেই আছে জীবনের সেই রূপ!
গহীন অরণ্যে মুক্তো খোঁজার মতো আমি কেবল খুঁজেছি তা।
পাই নি, কেউ বলেও নি- যে খোঁজে পথ, তার ফুরায় না পথ!
অবশেষে এসে দাঁড়িয়েছি, এই রাত্রির মুখোমুখি
এমন অন্ধকার আমি দেখিনি আগে- প্রতিবার সূর্য ডোবার পর
আমাকেই আমি খুঁজে পাই, ভীষণ মলিন ও কাতর।
মঙ্গলবার
১৩ কার্তিক ১৪৩১ | ২৯ অক্টোবর ২০২৪
নারায়ণগঞ্জ